অশোকনগরের স্কুলে পড়ুয়াদের ক্ষোভ, গণনাকেন্দ্র সরানোর দাবি। ছবি: সুজিত দুয়ারি Sourced by the ABP
পঞ্চায়েত ভোটে হাবড়া ২ ব্লকের গণনাকেন্দ্র হয়েছিল অশোকনগর বয়েজ সেকেন্ডারি স্কুল। সেখানে গোলমালের জেরে স্কুলের নাম উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। গোলমালের জন্য স্কুলের সম্মান নষ্ট হয়েছে বলে দাবি ছাত্রদের একাংশের। এরপরে আর কখনও স্কুলে গণনাকেন্দ্র না করার দাবি তুলেছে তারা। সোমবার টিফিনের সময় স্কুলের গেটে, পাঁচিলে এই দাবিতে সাদা কাগজে হাতে লেখা পোস্টার মারতে দেখা যায় কিছু পড়ুয়াকে।
প্রধান শিক্ষক সুশান্তকুমার ঘোষ বলেন, “স্কুলে গণনাকেন্দ্র হবে কি না, তা সরকার এবং নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।”
গণনার দিন সকাল থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থী এবং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। ব্যালট লুটেরও অভিযোগ ছিল। ব্যালট-সহ একজনকে পুকুরে ঝাঁপ দিতেও দেখা যায়। এমনকি, হার ঠেকাতে এক তৃণমূল প্রার্থী ব্যালট চিবিয়ে খেয়ে নেন বলেও অভিযোগ। তৃণমূল মারধরের অভিযোগ মানেনি। বিরোধীরা প্রতিবাদ করলে পুলিশ লাঠি চালায় এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল পাঠায় বলে অভিযোগ। নির্বাচন কমিশন এখানকার তিনটি বুথের চারটি আসনের ভোট বাতিল করে। পরে সেখানে আবার ভোট হবে।
ছাত্রদের বক্তব্য, স্কুলে পড়াশোনা এবং খেলাধুলোর ঐতিহ্য আছে। ২০১৯ সালে ক্রীড়া ক্ষেত্রে রাজ্যে সেরা স্কুলের মর্যাদা পেয়েছিল স্কুলটি। সুব্রত কাপ ফুটবলে স্কুলটি ধারাবাহিক ভাবে সাফল্য পেয়ে আসছে। সেই স্কুলই অশান্তির জেরে শিরোনামে উঠে আসায় লজ্জিত ছাত্ররা।
দেবজিৎ রায়, অয়ন দত্তের মতো কিছু ছাত্রের দাবি, ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে স্কুলের সম্মান নষ্ট হয়েছে। আর যেন কখনও এই স্কুলে গণনাকেন্দ্র না করা হয়।