corona virus

দিনভর সুনসানই দক্ষিণ

ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা বাজার এলাকাগুলিতে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে গত কয়েক দিন ধরেই লকডাউন চলছে। সে কারণে বাজার হাটে লোকজন একেবারেই ছিল না। সকালে কিছু গাড়ি, মোটর বাইক রাস্তায় বেরোয়। সে সব আটকায় পুলিশ। কেন তাঁরা বাইরে বেরিয়েছেন, জিজ্ঞাসা করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২০ ০৪:০৬
Share:

টহল: ভাঙড়ের রাস্তায়। ছবি: সামসুল হুদা

লকডাউনে বৃহস্পতিবার জেলাজুড়ে কার্যত সুনসান ছিল রাস্তাঘাট। জরুরি পরিষেবা বাদে প্রায় সব কিছুই ছিল বন্ধ। সর্বত্রই পুলিশি নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো। নিয়ম ভেঙে যারা বাইরে বেরিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। অনেক জায়গাতেই কান ধরে ওঠবোস করানো হয়েছে। লাঠি পেটাও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কোথাও কোথাও আবার অপ্রয়োজনে বেরোতে দেখলে স্রেফ বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। অকারণে বাইরে বেরোনোয় জেলাজুড়ে গ্রেফতার ও আটক করা হয়েছে অনেককে। এ দিন বারুইপুর পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে মোট ৯৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় আটক করা হয়েছে প্রায় ৮০ জনকে।
ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা বাজার এলাকাগুলিতে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে গত কয়েক দিন ধরেই লকডাউন চলছে। সে কারণে বাজার হাটে লোকজন একেবারেই ছিল না। সকালে কিছু গাড়ি, মোটর বাইক রাস্তায় বেরোয়। সে সব আটকায় পুলিশ। কেন তাঁরা বাইরে বেরিয়েছেন, জিজ্ঞাসা করা হয়। সঠিক কারণ দেখাতে না পারলে জরিমানা করা হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে। রাস্তার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যারিকেড করে নাকা চেকিংও চলেছে। ক্যানিং থানা এলাকায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত কয়েক দিন ভালই ভিড় হলেও এ দিন সকাল থেকে ভাঙড়ের ঘটকপুকুর বাজার, চন্দনেশ্বর বাজার, ভাঙড় বাজার, বিজয়গঞ্জ বাজার, শোনপুর বাজার, পোলেরহাট বাজার-সহ জীবনতলার থানা এলাকার বিভিন্ন বাজার ছিল বন্ধ। অধিকাংশ রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। অন্যান্য দিনের মতো বাসন্তী হাইওয়েতে যানবাহন চলতে দেখা যায়নি। সকাল থেকেই বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশের নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো। শোনপুর, পোলেরহাট, পাগলাহাট, শাঁকশহর এলাকায় বেশ কিছু দোকান সকালের দিকে খোলা হয়। খবর পেয়েই দ্রুত তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। অকারণ বাইরে বেরোনোয় এ দিন বেশ কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে পুলিশ। বেশ কয়েক জায়গায় ধরপাকড় চলে।
তবে গ্রামীণ এলাকায় বিনা প্রয়োজনে অনেককেই ঘুরতে দেখা যায় অনেককে। পাড়ার মোড়েও আড্ডা-জমায়েত হয়েছে। পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে এ দিন বিকেলে ভাঙড়ের সাতুলিয়া বাজারে হাট বসে। কাশীপুর থানার পুলিশ এলাকায় যেতেই ব্যবসায়ীরা মালপত্র ফেলে পালিয়ে যান। তিন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভাঙড় ও কাশীপুর থানা এলাকা থেকে মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জয়নগর এলাকাতেও এ দিন কড়া হাতে লকডাউন সফল করতে দেখা যায় পুলিশকে। অকারণ বাইরে বেরোলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জয়নগর থানা এলাকায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ দুই মহকুমা জুড়ে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। সকাল থেকেই মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহলদারি শুরু হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন থানা এলাকায় বাসিন্দাদের সতর্ক করতে অটো-টোটোয় করে লাগাতার মাইকে প্রচার চালানো হয়। সঠিক কারণ দেখাতে না পারলে পথে বেরোনো অনেককে বা়ড়ি পাঠিয়ে দিয়ছে পুলিশ। কিু ক্ষেত্রে আটক করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement