জলমগ্ন: বসিরহাটে। —নিজস্ব চিত্র।
ঝড়-বৃষ্টির পরে কেটে গিয়েছে তিন দিন। এখনও বসিরহাট পুরসভার বহু রাস্তায় জমে রয়েছে নিকাশি নালা উপচানো নোংরা জল, আবর্জনা। তা মাড়িয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে মানুষজনকে।
সোমবার মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটের পিচ-পাথর উঠে গিয়েছে। তা নিয়েও ক্ষুব্ধ শহরবাসী। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘এই তো ক’দিন আগে নালা সাফাই হল। রাস্তায় পিচ পড়ল। বর্ষার শুরুর আগে এক দিনের বৃষ্টিতেই যদি এই হাল হয়, তা হলে বর্ষার টানা বৃষ্টিতে কী দশা হবে শহরের?’’
বসিরহাটের পুরপ্রধান তপন সরকার বলেন, ‘‘পুর এলাকার ৪৯টি রাস্তা মেরামতির জন্য ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার অনুমোদন মিলেছে। অর্ধেকের বেশি টাকা হাতে এসেছে। অধিকাংশ রাস্তার টেন্ডারের কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করল বাকি টাকা মিলবে। নিকাশি নালা এবং খাল পরিষ্কারের জন্য আরও প্রায় ১ কোটি টাকার টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই নিকাশি নালা ও খাল সাফাই এবং রাস্তার কাজ শুরু হবে।’’
পুর প্রশাসন ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে,বসিরহাট শহরকে ‘গ্রিন সিটি’ ঘোষণা করে রাজ্য সরকারের পক্ষে বহু কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই টাকায় শুধু রাস্তা, খাল, নিকাশি নালা সংস্কারই নয়, আরও বেশ কিছু কাজ হওয়ার কথা। শহরবাসীদের বক্তব্য, উন্নয়ন হচ্ছে ভাল কথা। কিন্তু উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকা ঠিকঠাক খরচ হচ্ছে কিনা, তা পুর কর্তৃপক্ষের দেখাও জরুরি।
বাসিন্দাদের আশঙ্কা অমূলকও নয়। সাঁইপালা, এস এন মজুমদার রোড, মার্টিনবার্ন রোডের জায়গায় জায়গায় পিচ-পাথর-ইট উঠে বড় বড়ে ডোবার আকার নিয়েছে। সাঁইপালার বিজয় দাস রোড এখনও জলমগ্ন। সেখানকার রাস্তার দু’পাশের অনেক বাড়ির ভিতরে এখনও হাঁটু সমান জল।
পুরপ্রধানের বক্তব্য, ময়লাখোলা এলাকায় বহু ব্যবসায়ী নিকাশি নালা আটকে দোকান করেছেন। ফলে সেখান দিয়ে জল বের হতে পারছে না বলেই একটু বৃষ্টিতে সাঁইপালা ভাসছে।
পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, বসিরহাট পুরসভার ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪-৫ নম্বরে বিবি বোস রোড, ৫-৬ নম্বরে দক্ষিণ মাঠ বিল ও সারদা চক্রবর্তী রোডের পাশে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তপারচর ও রাজেন্দ্র মিত্র রোডের পাশে, ১৬ নম্বরে হরিশপুর, ২১ নম্বরে ধর্মদাস রোডের পাশে এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে জেলেপাড়া-সহ কয়েকটি ওয়ার্ডে নিকাশি নালার কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। তারপরে শহরকে ঘিরে থাকা পাঁচটি খাল সংস্কার হবে। রাস্তার কাজও হবে।