—প্রতীকী ছবি।
আবার ১৪৪ ধারা ভাঙড়ের একাংশে। মঙ্গলবার ভাঙড় ২ ব্লকে পঞ্চায়েত উপসমিতি গঠন প্রক্রিয়ার সময় যাতে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, তা নজরে রেখেই কাশীপুর থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। সোমবার এলাকায় মাইকিং করে তা ঘোষণা করেছেন কাশীপুর থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। বারুইপুরের মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার বলেন, ‘‘আগামিকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত।’’
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ওই এলাকায়। রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহতও হন অনেকে। পঞ্চায়েত ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর সেই ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্কও হয়। ১৪৪ ধারা জারি আছে, এই কারণ দেখিয়ে দু’বার (গত ১২ জুলাই এবং ১৭ জুলাই) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিতে ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তার বিরোধিতা করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ। পরে ৩১ জুলাই রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতে জানিয়ে দেয়, ভাঙড় থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর পর গত অগস্ট মাসেও ভাঙড় ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের সময় ব্লক দফতর সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। সে বার ১৪৪ ধারা অমান্য করেই ব্লক দফতর থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কাঁঠালিয়া চৌমাথায় পথসভা করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পথসভা শেষে সওকাত মোল্লা, আরাবুল ইসলামদের নেতৃত্বে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী সমর্থক মিছিল করে ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন। তা নিয়ে তোপ দেগেছিল আইএসএফ। সেই ভাঙড় ২ ব্লকেই পঞ্চায়েত উপসমিতির গঠনে যাতে অশান্তির ঘটনা এড়াতে আবারও ১৪৪ ধারা জারি করা হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে।