পিঠে বই, পায়ে কাদা...। নিজস্ব চিত্র।
ছোট ছোট পাগুলি এগোচ্ছে খুব সাবধানে। বেসামাল হলেই কাদাজলে লুটোপুটি খেতে হবে। প্রতিদিন এ ভাবেই তাদের যাতায়াত করতে হয় স্কুলে। রাস্তায় ইট ফেলে দিলেও অনেরক উপকার হয় পড়ুয়াদের। কিন্তু সে কথা ভাবছে কে!
ফলে অবস্থা যা হওয়ার তা-ই। বর্ষায় পরিস্থিতি আরও ঘোড়েল। বৃষ্টি থেমে গেলেও এখনও জল না নামায় সমস্যায় পড়েছে ক্যানিঙের গোপালপুর পঞ্চায়েতের আমতলা গ্রামের বহু পড়ুয়া। শুধু ছাত্রছাত্রী নয়, প্রতিদিন এমন কাদাজল ভেঙে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয় মানুষজনকেও। তাঁদের অভিযোগ, ওই এলাকায় আমতলার সিরাজের মোড় থেকে দেওয়ান পাড়া পর্যন্ত প্রায় ২ কিমি রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে খারাপ। ওই রাস্তার উপরেই পড়ে আমতলা মতিরাম হাইস্কুল, আমতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমতলা, গোপালপুর, কচুয়া-সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ছেলেমেয়েরা ওই স্কুলে পড়তে আসে। জলকাদার মধ্যে দিয়েই স্কুলে আসতে গিয়ে কচিকাঁচাদের। টাল সামলাতে না পেরে অনেকে উল্টে পড়ে। সাদা ইউনিফর্মে কাদা লেগে একসা। ভিজে জামাকাপড়েই ক্লাস করতে হয়। বর্ষায় ছেলেমেয়েদের নিয়মিত স্কুলে পাঠাতেও চান না অভিভাবকেরা। এ নিয়ে প্রশাসন বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনও হেলদোল নেই বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ।
মতিরাম হাইস্কুলের এক শিক্ষক বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীরা তবু জলকাদায় পড়ে গেলে বাড়ি চলে যেতে পারে। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওই জলকাদা ডিঙিয়ে স্কুলে আসতেই হয়। জামা নষ্ট হয়ে গেলেও সারা দিন ওই ভাবেই স্কুল করতে হয়। অবিলম্বে যদি স্কুলে আসার রাস্তাগুলি সংস্কার করা হয়, তা হলে সকলেরই ভাল হবে।’’
গোপালপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আদিত্য বৈদ্য বলেন, ‘‘ওই এলাকায় রাস্তা যে খারাপ, তা আমাদের নজরে আছে। বর্ষা থেমে গেলেই রাস্তার কাজ যাতে করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।’’
ক্যানিং ১ বিডিও বুদ্ধদেব দাসের কথায়, ‘‘ওই এলাকার রাস্তা যে খারাপ তা জানি। তবে স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণে ওই রাস্তার কাজ করা যায়নি।’’ অবিলম্বে যাতে রাস্তার কাজ যায়, তা তিনি দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিডিও।