বেড়মজুর কাছারি জেটিঘাট ও বাঁধের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। এ ভাবেই চলছে যাতায়াত। ছবি: নবেন্দু ঘোষ।
ফাটল ধরেছিল আগেই। বর্ষার মরসুমে কংক্রিটের জেটিঘাট আর নদীবাঁধের মধ্যে খানিকটা অংশ ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে পারাপার। সন্দেশখালির বেড়মজুর কাছারি ঘাটের এই অবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এই ঘাট দিয়ে ছোট কলাগাছি নদী পেরিয়ে যাত্রীরা সন্দেশখালি পঞ্চায়েতের দ্বারিরজাঙ্গাল দ্বীপ এলাকায় যান। দ্বারিরজাঙ্গাল বনমালী বিদ্যাভবনের পড়ুয়াদের অধিকাংশই এই জেটিঘাট দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। তাড়াহুড়োর সময়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। ওই স্কুলের পড়ুয়া সীমা মণ্ডল বলে, ‘‘জেটিঘাটের কয়েকটা সিঁড়ি ভেঙে নদীতে তলিয়ে গিয়েছে বহু দিন আগে। ফলে ভাটার সময়ে নৌকোয় ওঠানামা করতে খুব সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে কয়েক মাস ধরে দেখছি জেটিঘাট ও নদী বাঁধের মধ্যে ফাঁক তৈরি হচ্ছে। খুব সাবধানে এই অংশ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। একটু অসতর্ক হলেই বিপদ।’’
দ্বারিরজাঙ্গাল বনমালী বিদ্যাভবনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাধন সরকার বলেন, ‘‘বহু দিন ধরেই বিডিও অফিসে এই জেটিঘাটের সংস্কারের বিষয়ে জানাচ্ছি। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। জেটিঘাটের জন্য আমাদের স্কুলে পড়ুয়া কমে যাচ্ছে। অনেক পড়ুয়া বেড়মজুর গ্রাম থেকে আগে আসত। এখন জেটিঘাট খারাপ থাকায় নদী পেরিয়ে আর আসতে চাইছে না।’’
সন্দেশখালি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মহেশ্বর সর্দার বলেন, ‘‘এই জেটিঘাট মেরামতির বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত মেরামত করার কথা হয়েছে।’’