হাবড়ার স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র।
মাত্র ৪৮ ঘণ্টা পরেই রাজ্যের সমস্ত স্কুল খুলে যাবে। তবে স্কুল খুললেই ফের আশ্রয় হারাতে হবে না তো? আশঙ্কায় চিন্তার ভাঁজ স্কুলে আশ্রয় নেওয়া হাবড়ার জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় ওই বাসিন্দাদের ঠাঁইহারা হওয়ার আশঙ্কা অমূলক।
মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলা হবে বলে ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। করোনাবিধি মেনে স্কুল খোলার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে এতে আতান্তরে পড়েছেন হাবড়ার ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। বৃষ্টির জেরে ওই দু’টি ওয়ার্ডের বহু এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় প্রায় দু’মাস আগে সেখানকার বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন হাবড়া উচ্চ মাধ্যমিক মডেল স্কুলে। স্কুল খুললে সরকার যদি তাঁদের সেখান থেকে সরে যেতে বলে, তা হলে কোথায় যাবেন? উদ্বেগ বাড়ছে স্কুলে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের। হাবড়া উচ্চ মাধ্যমিক মডেল স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর হাবড়া ৫২ পরিবার এলাকার বাসিন্দা ললিতা দাসও। রাজ্য সরকারের ঘোষণার পর চিন্তায় ঘুম উড়েছে তাঁর। ললিতা বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ যাতে আমাদের এখানে সপ্তাহ দুয়েক থাকতে দেন। এখানে থাকতে দেন। আমাদের এলাকায় এখনও জলে ডুবে রয়েছে। সরকার যদি এই মুহূর্তে আমাদের স্কুল থেকে চলে যেতে বলে, তা হলে কী করব জানি না। কোথায় থাকব আমরা?’’
যদিও হাবড়ার ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ রবিবার জানিয়েছেন, স্কুলে আশ্রয় নেওয়া পরিবারের চিন্তার কারণ নেই। স্কুল খুললেও পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির প়ড়ুয়াদের জন্য তা বন্ধই থাকছে। ফলে ওই শ্রেণির ঘরগুলি বন্ধ থাকায় স্কুলে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দারা সেই ঘরগুলির মধ্যেই আপাতত থাকবেন। স্কুলের এক কর্মী সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্কুল খোলার যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ। ফলে নির্দিষ্ট সময়েই তা খুলবে। পাশাপাশি, স্কুলে আশ্রয় নেওয়া লোকজনও এখানে থাকবেন। আমাদের স্কুলে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। ফলে কারও অসুবিধা হবে না।’’ প্রশাসনের তরফেও তাঁদের ঘরে ফেরানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের।