চলছে বাঁধ পরিদর্শন। ছবি: সমরেশ মণ্ডল
সামনে বর্ষা। তার আগে বুধবার দুপুরে সাগরের বিভিন্ন নদীবাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখল বিধানসভার সেচ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির ন’জনের প্রতিনিধি দল। সন্ধ্যায় সাগরের পূর্ত ভবনে বিভিন্ন বাঁধের পরিস্থিতি ও সংস্কার নিয়ে দলটি একটি বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ওই স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তথা পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীরকুমার জানা জানান, সাগর, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা ও রায়দিঘি এলাকায় বেহাল বাঁধগুলির কাজের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কিছু জায়গায় বাঁধ সংস্কার প্রয়োজন। আলোচনাও হয়েছে। সেচমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হবে। বর্ষার আগে বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ করা হবে।
ওই কমিটিতে রয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরাও। তিনি বলেন, ‘‘কমিটির সদস্যেরা নদীবাঁধ ঘুরে দেখেছেন। বাঁধ সংক্রান্ত সমস্যা রিপোর্ট আকারে বিধানসভায় জমা করবেন তাঁরা।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিন দিনের সফরে এসেছে সেচ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি। প্রথম দিন সাগরের কশতলা, চাঁপাতলা, বঙ্কিমনগর, সুমতিনগরে নদীবাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। কপিলমুনির মন্দিরের সামনের ভাঙনও দেখে যায়। আজ, দ্বিতীয় দিন কমিটির সদস্যেরা জলপথে কাকদ্বীপের নান্দাভাঙা, ঈশ্বরীপুর ও পাথরপ্রতিমার নদীবাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। শেষ দিন, অর্থাৎ, শুক্রবার রায়দিঘি হয়ে দুপুরে ফিরে যাবেন তাঁরা।
ভারী বৃষ্টি বা ঝড় হলেই সাগর, ঘোড়ামারা, মৌসুনি দ্বীপ বা পাথরপ্রতিমায় বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা থাকে। এ দিনের বৈঠকে জেলার বিভিন্ন বাঁধের পরিস্থিতি, কোন কোন নদীবাঁধ দ্রুত সংস্কার করা জরুরি, তা নিয়ে আলোচনা হয়। জেলার বিভিন্ন নদীবাঁধের পরিস্থিতি-সহ কোন কোন বাঁধের দ্রুত সংস্কার এবং কপিলমুনির মন্দিরের সোজাসুজি সমুদ্রতটে কী ভাবে ভাঙন রোধ সম্ভব, তা-ও বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে।