Coronavirus

কোভিড হাসপাতালের দাবিতে মিছিল বনগাঁয়

এ বার  কোভিড হাসপাতালের দাবিতে পথে নামলেন বনগাঁর লেখক,   শিল্পী, শিক্ষক, নাট্যকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীরা। বনগাঁর ৪১টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা সোমবার সকালে বনগাঁ শহরের নীলদর্পণ অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে মিছিল করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২০ ০৩:১৩
Share:

মিছিল: বনগাঁয়। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

বনগাঁ মহকুমা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। অথচ মহকুমায় নেই কোভিড হাসপাতাল। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত বনগাঁ মহকুমায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩৯ জন।

Advertisement

এ বার কোভিড হাসপাতালের দাবিতে পথে নামলেন বনগাঁর লেখক, শিল্পী, শিক্ষক, নাট্যকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীরা। বনগাঁর ৪১টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা সোমবার সকালে বনগাঁ শহরের নীলদর্পণ অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে মিছিল করেন। সকলে মাস্ক পরে, শারীরিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে মিছিলে হাঁটেন। বনগাঁ-চাকদা সড়ক ধরে মহকুমা হাসপাতাল পর্যন্ত যায় মিছিল। সকলের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, পোস্টার। তাতে লেখা ছিল, ‘স্বাস্থ্য কোনও পণ্য নয়। স্বাস্থ্য আমাদের অধিকার।’’

মানবাধিকার কর্মী তথা শিক্ষক দেবাশিস বসু বলেন, ‘‘বনগাঁ মহকুমা জুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসা পরিষেবা পেতে মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে কোভিডের চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। এখানে একটি কোভিড হাসপাতাল প্রয়োজন। সেই দাবি আমরা জানিয়েছি। অনেক সময়ে করোনার জন্য অন্য রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেটা যাতে না হয়, তা-ও বলা হয়েছে।’’

Advertisement

মিছিল শেষে একটি প্রতিনিধি দল মহকুমা হাসপাতালের সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতোর কাছে স্মারকলিপি দেয়। শঙ্কর বলেন, ‘‘কোভিড হাসপাতালের দাবির বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। হাসপাতালে ইতিমধ্যেই র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ব্যবস্থা চালু হয়েছে। যার মাধ্যমে হাসপাতাল থেকেই করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে।’’ এ দিন স্মারকলিপিতে বিশিষ্ট মানুষেরা দাবি করেছেন, মহকুমার কয়েক লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার স্বার্থে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের একাংশে ১০০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল তৈরি করা হোক। বনগাঁ মহকুমায় করোনা-পরিস্থিতি সঠিক ভাবে মোকাবিলার জন্য আর‌ও বেশি সংখ্যক মানুষের লালারস পরীক্ষার দাবি করা হয়েছে। একটি ভ্রাম্যমাণ কোভিড-১৯ টেস্টিং ইউনিটের ব্যরবস্থা করা দরকার বলেও জানানো হয়েছে।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement