public transport

public transports: চুপিসারেই বেড়েছে ভাড়া

বাসের পাশাপাশি ট্রেকার, যাত্রী পরিবহণের ছোট গাড়ি, অটো, ভুটভুটির ভাড়াও কয়েকগুণ বেড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

না আছে আগাম ঘোষণা, না আছে প্রশাসনের নজরদারি। বাড়ছে বাস-অটো-ট্রেকারের ভাড়া। পকেটে চাপ পড়ছে নিত্যযাত্রীদের। আজ নজরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিস্থিতি।

Advertisement

রায়দিঘির একটি স্কুলের কর্মী ডায়মন্ড হারবারের যুবক। বাসেই যাতায়াত করেন। ক’দিন আগে পর্যন্তও এম-১০ রুটের বাসে রায়দিঘি যেতে ভাড়া লাগত ৪০ টাকা। কিছুদিন হল ভাড়া বেড়েছে ২০ টাকা। যাতায়াতে ৪০ টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে। ওই যুবকের কথায়, “কোনও নোটিস নেই, কোনও চার্ট নেই, হঠাৎ করেই এত ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

শুধু এই রুটেই নয়, গত কয়েক দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন রুটে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে বাস ভাড়া। চালক-মালিকদের দাবি, যে ভাবে পেট্রল-ডিজেলের দাম বেড়েছে, ভাড়া বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু অভিযোগ, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই খেয়াল-খুশি মতো দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বাস মালিকেরা। ভাড়া বৃদ্ধির কোনও চার্টও টাঙানো হচ্ছে না বাসে। এই নিয়ে প্রায়ই চালক-কন্ডাক্টারদের সঙ্গে ঝামেলা বাধছে যাত্রীদের।

Advertisement

ভাঙড়-সহ সংলগ্ন বহু এলাকার মানুষের কলকাতা যাতায়াতের জন্য ভরসা ২১৩ রুটের বাস। ক’দিন আগে পর্যন্তও এই রুটে ঘটকপুকুর থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত বাস ভাড়া ছিল ১৫ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা। ক্যানিং থেকে বারুইপুর পর্যন্ত বাস ভাড়া ছিল ২৫ টাকা। বর্তমানে তা ৩৫ টাকা করা হয়েছে। ঘটকপুকুর-শিয়ালদহ রুটের নিত্যযাত্রী অশোক বিশ্বাস বলেন, “কোনও নোটিস না দিয়ে হঠাৎ করে বাসের ভাড়া ৮-১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কলকাতা যাতায়াতের খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি দেখা।”

ভাঙড় সংলগ্ন একটি রুটের বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক মুজিবর মোল্লা বলেন, “যে ভাবে জ্বালানির দাম ও অন্যান্য খরচ বেড়েছে, তাতে পুরনো ভাড়ায় বাস চালানো সম্ভব নয়। অথচ সরকার আমাদের কথা বিবেচনা করছে না।’’ তাঁর দাবি, পরিস্থিতি বুঝে যাত্রীরা বাড়তি ভাড়া দিতে আপত্তি করছেন না।

বাসের পাশাপাশি ট্রেকার, যাত্রী পরিবহণের ছোট গাড়ি, অটো, ভুটভুটির ভাড়াও কয়েকগুণ বেড়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই জ্বালানির দাম বাড়ার দোহাই দিচ্ছেন চালকেরা। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে অটো যাত্রীরা। ক্যানিং থেকে বারুইপুর পর্যন্ত অটো ভাড়া ছিল ৩০ টাকা। বর্তমান সেই ভাড়া বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। বারুইপুর থেকে গড়িয়া পর্যন্ত ভাড়া ছিল ১৮ টাকা। তা এখন দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকায়। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিউসির জেলা সভাপতি শক্তি মণ্ডল বলেন, “যে ভাবে পেট্রেপণ্য ও অন্যান্য জিনিসের দাম বেড়েছে, তাতে ভাড়া বাড়ানোটা জরুরি। কিন্তু সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে ভাড়া বাড়ানো যাবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।” জেলা পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, “ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement