এলাকা ঘুরে দেখছেন আধিকারিকেরা। ছবি: নির্মল বসু
ঘোষণা দীর্ঘ দিনের। এ বার পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসাবে বসিরহাটের আত্মপ্রকাশ সময়ের অপেক্ষা মাত্র— জানাচ্ছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। জমি-বাড়ি দেখার কাজ চলছে।
জেলাশাসকের দফতর কোথায় হবে, তা দেখতে বুধবার বসিরহাটে এসেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী-সহ আধিকারিকেরা। প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মাটিয়া থানা এলাকার কৃষি দফতর ও কিসান মান্ডি এলাকা পছন্দ হয়েছে তাঁদের।
বসিরহাট স্বাস্থ্য এবং পুলিশ জেলা ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল ইসলাম গায়েন এবং পুলিশ সুপার জবি থমাস কে তাঁদের দফতরে বসা শুরু করে দিয়েছেন। এসেছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) প্রীতি গোয়েল।
বসিরহাটের রঘুনাথপুরে কিসান মান্ডি এবং তার পাশের জায়গা নিয়ে জেলাশাসকের দফতর তৈরি হওয়ার কথা। পুলিশ সুপারের দফতর তৈরি হতে চলেছে বসিরহাট স্টেশনের কাছে, মাতৃসদনের পাশে। পুরসভার পাশে ‘পথের সাথী’তে আপাতত জেলা জজের বসার কথা। ইটিন্ডা ঘাট থেকে প্রায় ২০ একর জমি নিয়ে সরকারি দফতর করার কথা হয়েছে।
সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সহ প্রশাসনের পদস্থকর্তারা জায়গাটি দেখে পছন্দ করে গিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বসিরহাটকে আগেই জেলা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নতুন করে সাজানো হয়েছে টাউনহল এবং রবীন্দ্রভবন। পুলিশ ও স্বাস্থ্যজেলার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন সম্পূর্ণ জেলার জন্য প্রশাসনিক পরিকাঠামোর কাজ চলছে।’’
বসিরহাট শহরের যানজট কমাতে ইছামতীর পাশ দিয়ে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনাও হয়েছে। সকাল-বিকেল রাস্তা একমুখী করা হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষে নতুন করে টোটো বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা বসেছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি হয়েছে। আইসি এবং এসডিপিও-র সংখ্যা বেড়েছে।