অসন্তোষ: চুনাখালি পঞ্চায়েতের সামনে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ। বুধবার ছবিটি তুলেছেন প্রসেনজিৎ সাহা
আবাস যোজনার তালিকাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। তালিকায় কারচুপির অভিযোগ তুলে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হল তৃণমূলেরই একাংশ। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে বাসন্তী ব্লকের চুনাখালি পঞ্চায়েতে। প্রধান, উপপ্রধানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান একদল তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। পঞ্চায়েত দফতরের সামনে রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান ইচ্ছে মতো তালিকা তৈরি করেছেন। যাঁদের পাকা বাড়ি আছে বা যাঁরা আগেও আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন, তাঁদের নামই নতুন তালিকায় এসেছে। কিন্তু যাঁদের বাড়ি নেই, তাঁদের নাম তালিকায় নেই। বিক্ষোভকারী দীপঙ্কর মাইতি বলেন, “প্রধান, উপপ্রধানেরা নিজেদের কাছের লোক, পছন্দের লোকেদের নাম তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন। পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাঁদের নাম এই আবাস প্লাসের তালিকায় এসেছে। কিন্তু যাঁরা ত্রিপল খাটিয়ে দিন কাটান, তাঁরা তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। সে কারণেই আমরা তালিকা সংশোধন করে এই দরিদ্র মানুষদের ঘর দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।”
পঞ্চায়েত প্রধান দিপালী বৈরাগী বলেন, “যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁরা সরকার তথা দলের বদনাম করার চেষ্টা করছেন। ২০১৮ সালে যে তালিকা হয়েছিল, সেখানে সমস্ত জব কার্ড হোল্ডারদের নাম পাঠানো হয়েছিল। কোনও রং, দল দেখে তালিকা হয়নি। এখন অনেকের পাকা বাড়ি হয়েছে। সে কারণে নতুন সমীক্ষায় তাঁদের নাম বাদ যাচ্ছে। আমরাও চেষ্টা করছি, তালিকায় যাতে স্বচ্ছতা থাকে।” উপপ্রধান নরেশ নস্করের কথায়, “যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই এর আগে ঘর পেয়েছেন। বিজেপির কিছু লোককে দলে ঢুকিয়ে আলাদা গোষ্ঠী তৈরি করে একটা ঝামেলা পাকাতে চাইছেন। এ বিষয়ে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি।”
বাসন্তীর বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, “এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা। যারা ভাগ পায়নি, তারাই বিক্ষোভ করছে। বিজেপি আলাদা ভাবে প্রতিটি ব্লকে ব্লকে এই আবাস যোজনার দুর্নীতির প্রতিবাদ করছে।”