Pradhan Mantri Awas Yojana

ভাঙা ঘর, তবু নাম নেই সরকারি তালিকায়

হেমনগরে সুন্দরবন-লাগোয়া এলাকায় প্লাস্টিক ছাওয়া মাটির ঘরে বাস বছর পঁয়ষট্টির ঊর্মিলার। সরকারি একটি ঘরের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বৃদ্ধা।

Advertisement

নির্মল বসু 

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৮
Share:

ঊর্মিলা মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র

ভাঙা মাটির ঘরে বাস। তবু আবাস যোজনায় ঘর মেলেনি হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ পঞ্চায়েতের হেমনগরের বাসিন্দা ঊর্মিলা মণ্ডলের। বৃদ্ধার দাবি, তিনি তৃণমূল করেন। কিন্তু বিজেপি করার অভিযোগ তুলে তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

হেমনগরে সুন্দরবন-লাগোয়া এলাকায় প্লাস্টিক ছাওয়া মাটির ঘরে বাস বছর পঁয়ষট্টির ঊর্মিলার। সরকারি একটি ঘরের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বৃদ্ধা। তিনি জানান, প্রথম দফায় আবাস যোজনার ঘরের তালিকায় নাম ছিল। পরে নাম কাটা যায়। বিষয়টি জানতে পেরে বিডিওর কাছ গেলে পঞ্চায়েতে পাঠানো হয় বৃদ্ধাকে। বৃদ্ধা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আমি নাকি বিজেপি করি। তাই নাম কাটা গিয়েছে।’’ বৃদ্ধার দাবি, "আমি তৃণমূল করি। তৃণমূলের মিটিং-মিছিলে যাই। অথচ, বলা হচ্ছে আমি বিজেপি করি। সে কারণে ঘর পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হলাম।’’ বৃদ্ধার ক্ষোভ, ‘‘ওরা ভুলে গিয়েছে, আমরাই লড়াই করে তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিলাম।’’

পঞ্চায়েত প্রধান নগেন বৈদ্য বলেন, ‘‘এখানে দলের কোনও ব্যাপার নেই। হেমনগর মৌজায় ঘরের উপভোক্তা ছিলেন ৩১৩ জন। সমীক্ষায় ঊর্মিলা-সহ কয়েকজনের নাম বাদ গিয়েছে। যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে, তাঁরা যাতে ঘর পান, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডলের কথায়, ‘‘কিছু গরিব মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। আমরা চাই, কোনও দল না দেখে প্রকৃত গরিব মানুষ ঘর পান।’’

বিষয়টি নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের বসিরহাট জেলার কার্যকারী সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, ‘‘শাসকদলের নেতাদের টাকা দিতে না পারলে ঘর মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে অনেক সময়ে নিজের দলের লোককেও বঞ্চিত করতে দ্বিধা করছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। হেমনগরের ঘটনা তারই একটা বড় উদাহরণ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement