আবাস যোজনার টাকা পৌছল জেলাশাসকের কাছে। প্রতীকী চিত্র।
আবাস প্লাস ঘরের জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রথম পর্যায়ে ১ লক্ষ ১২ হাজার উপভোক্তার টাকা এসেছে বলে জানালেন জেলাশাসক। শুক্রবার আলিপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। এদিন ওই বৈঠকে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শঙ্খ সাঁতরা, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ) সামিরুল আলম, আলিপুরের মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ প্রমুখ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় আবাস প্লাস ঘরের জন্য প্রায় ৫ লক্ষ উপভোক্তার নামের তালিকা তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে সমীক্ষা করে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার উপভোক্তার নাম বাদ গিয়েছে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ১২ হাজার উপভোক্তার প্রথম পর্যায়ের টাকা এসেছে। আবাস প্লাস ঘরের জন্য উপভোক্তারা ১ লক্ষ ২০ হাজার করে টাকা পাবেন। উপভোক্তারা প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা পাবেন। নির্ধারিত কাজ শেষ হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা খতিয়ে দেখা হবে। তারপর মিলবে দ্বিতীয় কিস্তির ৫০ হাজার টাকা। তৃতীয় কিস্তির ১০ হাজার টাকা ছাদ ও বাড়ি তৈরির পরে দেওয়া হবে। ২৫ স্কোয়ার মিটারের মধ্যে বাড়িটি তৈরি করতে হবে। বাড়ি তৈরির পরে বাড়ির গায়ে ‘পিএমএওয়াই’ লোগো লাগাতে হবে। পুরো বাড়িটি ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে। বাড়ির কাজ কত দূর হল, তা খতিয়ে দেখার জন্য ‘আবাস বন্ধু’দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত দু’বার তাঁরা উপভোক্তাদের বাড়ি পরিদর্শন করবেন। সেখানে কোনও সমস্যা হলে তাঁরা তা সমাধানের চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে পঞ্চায়েত প্রধান ও সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিষয়টি জানাতে হবে।
অফিসারেরা প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত ২৫ শতাংশ বাড়ি পরিদর্শন করবেন। যুগ্ম বিডিওরা সপ্তাহে অন্তত ৫০টি বাড়ি পরিদর্শন করবেন। বিডিও ও মহকুমাশাসকদের অন্তত ২০টি বাড়ি পরিদর্শন করতে হবে। জেলা বা মহকুমাস্তরের অফিসারেরাও বাড়ি পরিদর্শনে যাবেন। জেলা এবং ব্লকস্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। সেই নম্বর প্রচার করতে হবে। যদি উপভোক্তার বাড়ি তৈরিতে সমস্যা হয়, তা হলে তাঁরা কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করতে পারেন। সব রকম সহযোগিতা করা হবে। সমস্ত রকম পদক্ষেপ করার জন্য মহকুমাশাসক ও বিডিওদের নির্দেশ দেন জেলাশাসক।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘আবাস প্লাস ঘর নিয়ে স্বচ্ছতা আনতে সব রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। মহকুমাশাসক, বিডিওদের পাশাপাশি আমি নিজেও সব কিছু খতিয়ে দেখছি। কোথাও কোনও অভিযোগ থাকলে খবর পাওয়া মাত্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’