বৃষ্টিতে সামান্য জল দাঁড়ালেও ভুটভুটি চলার মতো অবস্থায় পৌঁছয়নি। ছবি: দিলীপ নস্কর।
খালে জল নেই। বন্ধ ভুটভুটি চলাচল। ফলে যাতায়াতে চরম সমস্যায় পড়েছেন মগরাহাট ২ ব্লকের বাসিন্দারা।
ওই ব্লকের মগরাহাট বাজার মোড়ে একটি খাল রয়েছে। এলাকায় সেটি ‘কাটাখাল’ নামে পরিচিত। ধনপোতা হয়ে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে দাইজি গ্রাম। অন্য দিকে রয়েছে মড়াপাই গ্রাম। ওই খাল দিয়ে প্রায় কুড়ি বছর ধরে ভুটভুটিতে মানুষ যাতায়াত করেন। মূলত ধনপোতা, উড়েলচাঁদপুর ও মগরাহাট ১ ব্লকের লক্ষ্মীকান্তপুর এই তিনটি পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষের মগরাহাটে যাওয়ার জন্য এই ভুটভুটিই একমাত্র ভরসা। মগরাহাটে রয়েছে ব্লক অফিস, গ্রামীণ হাসপাতাল, স্কুল কলেজ ও মগরাহাট বাজার। ফলে বাসিন্দাদের যাতায়াত করতেই হয়।
রাস্তা দিয়েও যাওয়া যায়। কিন্তু অনেক জায়গাতেই এখনও মাটির রাস্তা কোথাও আবার ইটের রাস্তা রয়েছে। তা পেরিয়ে যাওয়া সময় সাপেক্ষ এবং বিপজ্জনকও বটে। বাসিন্দারা জানান, রোগীকে স্ট্রেচারে করে কাঁধে তুলে নিয়ে যেতে হয়। স্কুল কলেজের পড়ুয়া ও অফিস কর্মীদের হেঁটেই যেতে হচ্ছে। মগরাহাট ২ বিডিও খোকনচন্দ্র বালা বলেন, ‘‘গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন মাটির রাস্তা ইট পাতা অবস্থায় রয়েছে। ঢালাই রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে মানুষের সুরহা হবে।’’
বাসিন্দারা জানান, দাইজি ঘাটের পাশে একটি মাছের আড়ত আছে। অনেক দূর থেকে ব্যবসায়ীরা এসে মাছ কিনে জেলার বিভিন্ন বাজার এবং কলকাতায় বিক্রি করেন। ভুটভুটি চলাচল বন্ধ থাকায় তা এখন হচ্ছে না। সমস্যায় পড়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরাও। ভুটভুটি চালক গোষ্ঠগোপাল জলুয়া বলেন, ‘‘হাঁটু সমান জল না হলে ভুটভুটি চালানো সম্ভব হয় না। কবে চলাচল শুরু করতে পারব জানি না। আমাদেরও আয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’
লক্ষ্মীকান্তপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মনোজ ঘোষ বলেন, ‘‘চৌকিতলা ভটভুটি ঘাট থেকে ধনপোতা মোড় পর্যন্ত এখনও পাকা রাস্তা হয়নি। ফলে কোনও পরিবহণ চলাচল করে না।’’ একই বক্তব্য ধনপোতা পঞ্চায়েত প্রধান দীনবন্ধু কয়াল জানান, দাইজি ভুটভুটি ঘাট থেকে ইট পাতা ডবল সোলিং রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ওই রাস্তাটি তৈরি হলে গাড়ি চলাচল করতে পারবে।