namkhana

নামখানায় নদীর চরে যথেচ্ছ কোপ, ধস নামল রাস্তায়, প্রশাসন উদাসীন, অভিযোগ গ্রামবাসীদের

অভিযোগ নিয়ে প্রধান গীতা কাঁপ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পঞ্চায়েতের তরফে কারওর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিডি়ও শান্তনু সিংহ ঠাকুর অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নামখানা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩ ০৯:৪৯
Share:

চিলাপাড়া খাল কাটার পর নদীর চরের অবস্থা। ছবি: সমরেশ মণ্ডল

দিনকয়েক আগে নামখানার শিবরামপুর পঞ্চায়েত এলাকার নদীর চর থেকে প্রধানের মদতে মাটি কাটার অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পুলিশ গেলে মাটি কাটা বন্ধ হয়। পুলিশ মাটি কাটার যন্ত্র আটক করে। কিন্তু কয়েক দিন পরে ফের মাটি কাটা শুরু হতে দেখে গ্রামবাসীরা সেচ দফতরে অভিযোগ জানান। এ ক্ষেত্রেও সেচ দফতরের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে গেলে মাটি কাটা বন্ধ হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

এর প্রতিবাদে রবিবার চরে দাঁড়িয়েই বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। প্রশাসন পদক্ষেপ না করলে ভবিষ্যতে বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিলেন তাঁরা।

অভিযোগ নিয়ে প্রধান গীতা কাঁপ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পঞ্চায়েতের তরফে কারওর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিডি়ও শান্তনু সিংহ ঠাকুর অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা মালি মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘‘এই ভাবে মাটি কাটা ঠিক হয়নি। সোমবার ব্লক অফিসে এলাকার রাস্তাঘাট নিয়ে একটি বৈঠক আছে। বৈঠকে বিষয়টি তুলব। খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’’

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের রাজনগর গ্রামের পাশ থেকে বয়ে গিয়েছে ছোট নদী। নদীটি স্থানীয় ভাবে ‘চিলাপাড়া খাল’ নামে পরিচিত। অভিযোগ, ওই খালের একদিকের চরের মাটি রাতের অন্ধকারে কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ওই অংশে থাকা বেশ কিছু ম্যানগ্রোভও কেটে ফেলা হয়েছে।

গ্রামবাসীদের দাবি, নদীর চরের প্রায় ১৫০ মিটার অংশের মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। তার জেরে চরের পাশে পিচের রাস্তায় ইতিমধ্যেই ধস নেমেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রাস্তা ভেঙে চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা গ্রামবাসীদের।

স্থানীয় বাসিন্দা অভিমন্যু গিরি বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্য ও সুপারভাইজ়ারের নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে নদীর চরের মাটি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। প্রায় ন’ফুট গভীর করে মাটি কাটা হয়েছে। এলাকার পিচের রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্ষা নামলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যাবে না। কিছু ম্যানগ্রোভ ছিল। সব কেটে ফেলেছে।” শেখ হানিফ নামে আর এক গ্রামবাসী বলেন, “এই ঘটনায় তৃণমূলের বড় নেতারাও জড়িত। বারবার বিষয়টি জানিয়েছি নেতাদের। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement