কোথাও নিকাশি নালার উপরে পড়ে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। আবার কোথাও রাস্তার ধারেই জমা হয়েছে আবর্জনা। সেখান থেকেই ডিম ফুটে মশার লার্ভা তৈরি হচ্ছে।
ডায়মন্ড হারবার পুরসভার এই আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ট বাসিন্দারা। তেমনি এলাকায় মশা মাছির উপদ্রবও বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, এর ফলে ছড়াচ্ছে দূষণও।
ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৬ ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য ৭টি আবর্জনা ফেলার ভ্যাট রয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। সেই আবর্জনাই ভ্যাটে ফেলা হয়। সেখানে কয়েকদিন জমার পর সেগুলি গাড়িতে করে নিয়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দলনঘাটা মোড়ের কাছে ভ্যাটে ফেলা হয়। এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবারের পুরপ্রধান মিরা হালদার বলেন, ‘‘জায়গার অভাবে বাধ্য হয়ে স্টেশন বাজারে ভ্যাটটি তৈরি করতে হয়েছে। বাকি সমস্যাগুলি নিয়ে পুরসভার জঞ্জালের দায়িত্বে যিনি রয়েছেন তাঁর সঙ্গে কথা বলব।’’
ডায়মন্ড হারবারের স্টেশন বাজারের পাশে একটি বড় ভ্যাট রয়েছে। ওই ভ্যাটের পাশ দিয়ে ট্রেন যাত্রী ছাড়াও হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। পাশেই বাজার বসে। রয়েছে নানা খাওয়ারের দোকানও। ভ্যাটের দুর্গন্ধের জন্য মানুষ ওই দোকানগুলিতে খেতে যাচ্ছেন না বলে অভিযোগ দোকানিদের। বাসস্ট্যান্ডের পাশে রয়েছে আরও একটি ভ্যাট। সেখানে ভ্যাটের দুর্গন্ধ উপেক্ষা করেই মানুষকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার কয়েকটি ভ্যাট ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায়। সেখানে এর জন্য টেকা দায় হয়ে যাচ্ছে। যা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকর। ওই ভ্যাটগুলি লোকালয় থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা। এলাকার মানুষ প্রবীর দলুই, পঙ্কজ ঘোষরা জানান, পুরসভার সরকারি জমি যত্রতত্র বেদখল হয়ে যাচ্ছে। লোকালয় থেকে ভ্যাটগুলি সরিয়ে বেদখল হওয়া জমিতেই করা যেতে পারে।
পুরসভার জঞ্জালের দ্বায়িত্বে থাকা ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উমানাথ মান্না বলেন, ‘‘আমাদের সব ভ্যাটেরই জঞ্জাল গাড়িতে করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়।’’ স্টেশন বাজারে ভ্যাটের পাশে মাছের বাজার বসে। একাধিকবার মাছ ব্যবসায়ীদের আবর্জনা ফেলতে বারণ করা হয়। কিন্তু কথা শোনেন না বলে তিনি জানান।