কলকাতার কাছেই হাজার হাজার নামী বোতলে উদ্ধার নকল ঠান্ডা পানীয়

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল নকল ঠান্ডা পানীয়ের এই কারখানা। বাজার থেকে নামী-দামি সংস্থার খালি বোতল কম দামে কিনে, তা সাফ করে তাতে ভরে দেওয়া হতো নকল ঠান্ডা পানীয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৭ ১২:৪০
Share:

বাজেয়াপ্ত হওয়া পানীয়।

নামী-দামি সংস্থার ঠান্ডা পানীয়ের খালি বোতল জোগাড় করা হতো। তার পরে তাতে ভরে দেওয়া হতো নকল পানীয়। যা ছড়িয়ে পড়েছিল বিভিন্ন বাজারে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সকালে দেগঙ্গা বাজারের দু’টি কারখানায় হানা দেয় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। উদ্ধার হল নামী সংস্থার হাজার খানেক বোতলে ভরা নকল ঠান্ডা পানীয় এবং তা তৈরির সরঞ্জাম। এ দিন গ্রেফতার করা হয় ওই কারখানার দুই মালিককেও। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম সিরাজউদ্দিন ও রাকিবুল রহমান।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল নকল ঠান্ডা পানীয়ের এই কারখানা। বাজার থেকে নামী-দামি সংস্থার খালি বোতল কম দামে কিনে, তা সাফ করে তাতে ভরে দেওয়া হতো নকল ঠান্ডা পানীয়। সেই পানীয় তৈরি হতো কারখানাতেই। নামী ব্র্যান্ড হিসেবেই বাজারে চলে যেত নকল সেই পানীয়।

শনিবার সকালে নকল পানীয় রুখতে সি আই প্রসেনজিৎ দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী হানা দেয় দেগঙ্গা বাজারের দু’টি কারখানায়। সেখান থেকে মেলে হাজার খানেক নামী সংস্থার খালি বোতলে ভরা নকল ঠান্ডা পানীয়। উদ্ধার করা হয়েছে নকল ঠান্ডা পানীয় তৈরির সরঞ্জামও। সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন দেগঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক লিটন রক্ষিত।

Advertisement

নকল ঠান্ডা পানীয় তৈরির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কারখানা মালিকের এক আত্মীয় জাফর আলি এ দিন বলেন, ‘‘সরকারি অনুমতির নথিপত্র নিয়ে এই কারখানা চালানো হচ্ছিল। কোনও ভাবে কিছু নামী সংস্থার বোতল মিশে গিয়েছে।’’ এ দিন ঘটনার তদন্তে আসেন বারাসতের এসডিপিও গণেশ বিশ্বাস। তিনি জানান, এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement