এক রাজমিস্ত্রিকে থানায় ডেকে এনে মারধর করেছেন ফাঁড়ির ওসি সঞ্জীব দাস—এই অভিযোগ তুলে ফাঁড়িতে ভাঙচুর করল স্থানীয় বাসিন্দারা। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দত্তপুকুরের কদম্বগাছি পুলিশ ফাঁড়িতে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’ একই সঙ্গে ফাঁড়ির ওসি’র বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওই ওসিকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে অভিজিৎবাবু জানান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জীববাবু নিউ ব্যারাকপুর এলাকায় একটি বাড়ি তৈরি করেছেন। ওই কাজ করছেন দত্তপুকুর থানার আদর্শপল্লির বাসিন্দা কালু হালদার। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন। অভিযোগ, শারীরিক অসুস্থাতার কারণে তিনি কয়েকদিন কাজে যেতে পারেননি। অভিযোগ, এ দিন সকালে সঞ্জীববাবু একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে পাঠিয়ে কালুবাবুকে ফাঁড়িতে ঢেকে আনেন। কাজ করতে না যাওয়ার জন্য তাঁকে ফাঁড়িতে এনে মারধর করে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অসুস্থ হয়ে পড়েন কালুবাবু। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই খবর এলাকায় রটে যেতেই এলাকার মহিলা ও পুরুষেরা চড়াও হয় ফাঁড়িতে। তারা ইট পাটকেল ছুড়ে ফাঁড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এতে দু’জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। পুলিশের গাড়ি ও বাইকও ভাঙচুর করা হয়।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, ফাঁড়ির ওসি দীর্ঘদিন ধরেই নানা বেআইনি কাজে জড়িত। এ দিন কালুবাবুর ঘটনা জানতে পেরে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন।