বাঘের ডেরায় জীবনযাপন। — ফাইল চিত্র।
সুন্দরবন সফরে এসে মঙ্গলবার রাতটা টাকির জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বাংলোয় কাটাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উপলক্ষে রাতারাতি সেজে উঠছে পুরো টাকি পর্যটন কেন্দ্রই। নীল-সাদা রঙের প্রলেপ পড়ছে নানা জায়গায়। রং-বেরঙের ফুল গাছ লাগানো হচ্ছে। রাস্তাঘাট সাফসুতরো করার কাজ চলছে।
হিঙ্গলগঞ্জের কালীতলা পঞ্চায়েতের সামসেরনগর-সংলগ্ন মাঠে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে টাকিতেও। টাকির রাস্তা সারাই থেকে শুরু করে ইছামতীর নদীর পাড় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নতুন ভাবে।’’ বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে এই পর্যটনকেন্দ্রের প্রচার আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
সামসেরনগরে বহু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। তাঁরা জেনেছেন, মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে আসবেন। ফিরবেনও আকাশপথে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় বহু রাস্তা, নদীরবাঁধ খারাপ। পানীয় জলের অভাব আছে। কাছাকাছি ভাল হাসপাতাল নেই। অধিকাংশ সময়ে বিদ্যুৎ থাকে না। কলকাতা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বাস পরিষেবা চালু হলেও তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনে্কে জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বলার সুযোগ পেলে এ সব কথা তুলবেন।
বিপ্লব মণ্ডল, কালাম শেখ, কণিকা মাহাতো, সোনামণি মুর্মুরা জানালেন, আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলেরও কোনও ব্যবস্থা নেই বললে চলে। সামান্য রোজগারের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গভীর জঙ্গলে ঢুকতে হয়। স্বপন মালো, কমল মণ্ডলের কথায়, কর্মসংস্থানের অবস্থা খুবই খারাপ। বহু মানুষ ভিন্ রাজ্যে কাজে যেতে বাধ্য হন। কণিকার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এ সব সমস্যার সুরাহায় কিছু বলবেন কি না, সেই অপেক্ষায় আছি।’’
সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই দাবিগুলি জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি ইতিমধ্যে জানিয়েছেন।