ভোগান্তি: হাসপাতালের সামনে ভিড়। ইনসেটে, ঝুলছে নোটিস। নিজস্ব চিত্র
জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক মিলছে না ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। বিড়াল, কুকুরে কামড়ানো রোগীদের হয়রান হতে হচ্ছে। শনিবার প্রতিষেধক না পেয়ে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান আক্রান্ত ও তাঁদের পরিবারের সদস্যেরা।
ক্যানিং-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্ত, এমনকী উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জের লোকজনও ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের উপরে নির্ভরশীল। হাসপাতাল থেকে বিড়াল, কুকুরে কামড়ানোর প্রতিষেধক বিনামূল্যে দেওয়া হয় আক্রান্তদের। কিন্তু অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরে হাসপাতালে প্রতিষেধক মিলছে না। বার বার হাসপাতালে এসে ফিরে যাচ্ছেন আক্রান্তেরা। হাসপাতাল থেকে যে তারিখে আসতে বলা হচ্ছে, সেই দিনে এসেও প্রতিষেধক পাওয়া যাচ্ছে না।
শনিবার সকালেও জনা চল্লিশ আক্রান্ত আসেন হাসপাতালে। তাঁরা দেখেন, প্রতিষেধক নেই বলে বোর্ড ঝোলানো রয়েছে। এরপরেই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। ক্যানিংয়ের বাসিন্দা কৃষ্ণপদ মণ্ডল বলেন, “তিনটি ডোজ় পেয়েছি। কিন্তু শেষ ডোজ়ের জন্য দিনের পর দিন ঘুরছি। নির্দিষ্ট সময়ে না পেলে আবার নতুন করে ভ্যাকসিনের ডোজ় চালু করতে হবে। হাসপাতালে না পেলে বাইরে থেকে বেশি টাকায় কিনতে হবে।” বাসন্তীর বাসিন্দা সুরাইয়া শেখ বলেন, “দু'টো ভ্যাকসিন পেয়েছি। কিন্তু তারপর থেকে আর পাচ্ছি না। বার বার হাসপাতালে আসছি। বলছে ভ্যাকসিন নেই। এই ধরনের জীবনদায়ী ওষুধ সরকারি হাসপাতালে না থাকলে আমরা কোথায় যাব?”
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার সুরেশ সর্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি, মেসেজরও উত্তর দেননি। তবে হাসপাতাল সূত্রের খবর, জেলার কোথাও সরকারি হাসপাতালে বর্তমানে জলাতঙ্কের এই প্রতিষেধক মিলছে না। এ বিষয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। হাসপাতালের সুপার ও মহকুমাশাসককে বিষয়টি জানিয়েছি। দ্রুত যাতে এই টিকা হাসপাতালে পৌঁছয়, সে বিষয়ে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”