আরাবুল ইসলাম। —ফাইল ছবি
দিদিকে বলো কর্মসূচিতে সোমবার ভাঙড়ের পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের দক্ষিণ স্বরূপনগরে হাজির হন আরাবুল ইসলাম। ছিলেন অন্য তৃণমূল নেতারাও। ভাঙড়ের জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত এই এলাকা। এ দিন আরাবুলকে পেয়ে গ্রামের লোকজন তাঁদের নানা অভাব অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। গ্রামের বাসিন্দা রশিদা বিবি, জান্নাতুল ফিরদৌসরা আরাবুলকে জানান, পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতে দফতরে গিয়ে প্রধান, উপপ্রধানদের দেখা পাওয়া যায় না। শংসাপত্র, সরকারি নানা পরিষেবা পেতে সমস্যা হয়। আরাবুল জানান, কিছু সমস্যার জন্য প্রধান, উপপ্রধান ঠিকমতো পঞ্চায়েতে আসতে পারেন না। তবে পরিষেবা পেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই জন্য প্রধান, উপপ্রধানের সই করা শংসাপত্র পঞ্চায়েত অফিসে রাখা থাকে। তাছাড়া এলাকার রাস্তাঘাট, সরকারি গৃহনির্মাণ প্রকল্পে সাধারণ মানুষের বাড়ি দেওয়া থেকে শুরু করে সব রকম উন্নয়নমূলক কাজ এলাকায় করা হচ্ছে। এরপরও যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে তাঁরা সরাসরি ‘দিদিকে বলো’ তে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন।
২০১৭ সালে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এই এলাকা। প্রাণ যায় তিন গ্রামবাসীর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেও নানা টালবাহানায় এবং জমি কমিটির বাধায় দীর্ঘদিন ওই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে পারেনি শাসক দল তৃণমূল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ওই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়। তারপরেও জমি কমিটি হুমকি দেয় প্রধান, উপপ্রধানকে পঞ্চায়েতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এর জেরেই বোর্ড গঠনের পরেও প্রধান, উপপ্রধান পঞ্চায়েতে বসতে পারেন না বলে অভিযোগ। যে এলাকায় জমি কমিটির বাধায় প্রধান, উপপ্রধান পঞ্চায়েতে বসতে পারছেন না, সেখানে আরাবুল ইসলামের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন দলীয় নেতারা।
জমি কমিটির সদস্য মির্জা হাসান আবশ্য বলেন, ‘‘আরাবুল ইসলাম পুলিশের ঘেরাটোপে গ্রামে গিয়েছেন। সারা রাজ্যে কোথাও পুলিশি নিরাপত্তায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে না তৃণমূল নেতাদের। এখানে আরাবুল ইসলামের কোনও জনভিত্তি নেই। বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে লোক দেখানো কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।’’