অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পারাপার

পারাপারের জন্য ল়ঞ্চের সুবিধা রয়েছে। কিন্তু জেটি এতটাই উঁচু যে মানুষের উঠতে নামতে অসুবিধা হয়। পড়ে গিয়ে জখম হওয়ার ঘটনাও কম নয়। বাধ্য হয়েই নৌকায় পারাপার করছেন লোকজন। সন্দেশখালি এবং ধামাখালির মধ্যে পারাপারে বড় কলাগাছি নদীতে এখন তাই নৌকাই ভরসা।

Advertisement

নির্মল বসু

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৫০
Share:

বিপজ্জনক: ঝুঁকি নিয়ে পারাপার। নিজস্ব চিত্র

পারাপারের জন্য ল়ঞ্চের সুবিধা রয়েছে। কিন্তু জেটি এতটাই উঁচু যে মানুষের উঠতে নামতে অসুবিধা হয়। পড়ে গিয়ে জখম হওয়ার ঘটনাও কম নয়। বাধ্য হয়েই নৌকায় পারাপার করছেন লোকজন। সন্দেশখালি এবং ধামাখালির মধ্যে পারাপারে বড় কলাগাছি নদীতে এখন তাই নৌকাই ভরসা।

Advertisement

এলাকার মানুষ জানান, মাত্র দু’টি নৌকায় পারাপার চলে। ফলে যাত্রীর চাপও রয়েছে। যে ভাবে নৌকাবোঝাই করে যাত্রী তোলা হয় তাতে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে অতিরিক্ত লঞ্চ এবং নৌকা বাড়ানোর পাশাপাশি জেটিরও সংস্কার করা উচিত প্রশাসনের।

মহকুমাশাসক নীতেশ ঢালি বলেন, ‘‘সন্দেশখালি ২ ব্লকে ১৩টি ফেরিঘাটে শৌচাগার, টিকিট কাউন্টার তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। এখান থেকে যাত্রীদের ফেরি চলাচলের বিষয়ে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতনও করা হবে। অতিরিক্ত যাত্রী নৌকোয় যাতে না ওঠে সে বিষয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালি ব্লকের বড় কলাগাছি নদীর একপারে সন্দেশখালি অন্য পারে ধামাখালি। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা সন্দেশখালি, ভোলাখালি, খুলনা, তুষখালি, কোড়াকাটি এবং হিঙ্গলগঞ্জের সামসেরনগর, কালীতলা, যোগেশগঞ্জ, সাহেবখালি, সর্দারপাড়া ও হাসনাবাদের ভান্ডারখালির প্রচুর মানুষ পারাপার করেন। তাঁদের মধ্যে স্কুল-কলেজের পড়ুয়া থেকে অফিস যাত্রীরাও রয়েছেন। এমনকী দুই এলাকার চাষিরাও ফসল নিয়ে ওই জলপথেই পারাপার করেন।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেটির সমস্যা রয়েছে এটা ঠিক। যে কারণে লঞ্চে ওঠানামায় দুর্ঘটনাও ঘটে অনেক সময়। মাসখানেক আগে লঞ্চে উঠতে গিয়ে মা ও ছেলের নদীতে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ওই ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তার কারণে অনেকেই লঞ্চে উঠতে চান না। তা ছাড়াও লঞ্চ পরিষেবা নিয়ে ‌নানা অভিযোগও রয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, সপ্তাহের সব দিন ঠিকমত লঞ্চ পরিষেবা মেলে না। ফলে তখন নৌকাই ভরসা। আগে নদী পারাপারে নৌকোয় এক টাকা নেওয়া হলেও এখন সুযোগ বুঝে যাত্রী পিছু ৩ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

সুন্দরবন লাগোয়া যোগেশগঞ্জে বাড়ি প্রভাস নস্কর, কমলাকান্ত মণ্ডল, কাকলি পাত্রের। তাঁরা জানান, কাজকর্মের জন্য প্রায়ই কলকাতায় ছুটতে হয়। সর্দারপাড়া থেকে ধামাখালি পর্যন্ত নদীপথ এড়াতে গাড়িতে দুলদুলি আসতে হয়। সেখান থেকে ভান্ডারখালি, খুলনা এবং সন্দেশখালি হয়ে ধামাখালি থেকে কলকাতার বাস ধরতে হয়। নৌকার জন্য দীর্ঘ সময় নদী ঘাটে বসে থাকতে হয়। এ ভাবে কি রোজ যাতায়াত করা যায়! তাঁদের অভিযোগ, ‘‘সন্দেশখালি ঘাটে সময়মত লঞ্চ মেলে না। তার উপর কম নৌকার সংখ্যা কম থাকায় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পারাপারে বিপদের
ঝুঁকি রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement