আধিকারিককে ক্ষোভের কথা জানাচ্ছেন অভিভাবকেরা। নিজস্ব চিত্র
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন জেলা স্কুল পরিদর্শক কৌশিক রায়। তাঁকে ঘিরে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অভিভাবকদের বিক্ষোভ চলে। সেখানে ছিলেন কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পরিচালন সমিতির সভাপতি, সদস্যেরা।
এর আগেও মছলন্দপুর রাজবল্লভপুর হাইস্কুলে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যোগসাজশের অভিযোগে তাঁর ঘরের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। ঘরে ভাঙচুরও হয়। প্রধান শিক্ষক সিকন্দার রবিদাসের বিরুদ্ধে স্কুলের এক শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল আগে। হাবড়া থানা সহ একাধিক জায়গায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই শিক্ষিকা। সে সময়ে প্রধান শিক্ষক সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে জানিয়েছিলেন, স্কুলের কিছু দুর্নীতি নিয়ে তিনি প্রশাসনিক মহলে কয়েক জন শিক্ষকের নামে নালিশ জানিয়েছেন বলেই তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
স্কুলের পরিচালন সমিতি সভাপতি হিরালাল মজুমদার জানান, প্রধান শিক্ষক চলতি মাসের ১৭ তারিখ থেকে স্কুলে আসছেন না। আমরা তা নিয়ে কোনও নোটিসও পাইনি। এতে পঠনপাঠনের উপরে প্রভাব পড়ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আসেন আধিকারিকেরা। তা জানতে পেরে কিছু অভিভাবক ভিড় করেন। তাঁরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস শুনতে চান ডিআইয়ের কাছ থেকে। গোলাম মোর্তাজা নামে এক অভিভাবকের বক্তব্য ‘‘প্রধান শিক্ষকের জন্য
স্কুলের সম্মানহানি হচ্ছে। একাধিক বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির
অভিযোগ উঠেছে। আমরা ওঁর বহিষ্কার চাই।’’
কৌশিক পরে বলেন, ‘‘আমরা তদন্তের জন্য এসেছিলাম। প্রধান শিক্ষক স্কুলে থাকলে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারলে ভাল হত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট দেব।’’
এ দিন প্রধান শিক্ষক সিকন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন বেজে গিয়েছে। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি স্কুলে আসার
পরে অনেকেরই স্বার্থে আঘাত লেগেছে। সে কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।"