পানিহাটি স্পোর্টিং ক্লাবের নবম উইকেট যখন পড়ল, তখনও ম্যাচ জিততে চাই ১৮ রান। এই পরিস্থিতিতে দলের এগারো নম্বর ব্যাটসম্যানকে সঙ্গে নিয়েই ম্যাচ বের করলেন প্রলয় দে। তাঁর ব্যাটে ভরসা করেই সিএবি পরিচালিত শিবপ্রসাদ হাজরা ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিল উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির ক্লাবটি। এক উইকেটে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকল বীরভূমের এ টু জেড ক্লাব। চন্দননগর স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশনের (সিএসএ) ব্যবস্থাপনায় সোমবার এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল হয় মানকুণ্ডু স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে। টসে জিতে বীরভূমের ক্লাবটি প্রথমে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেয়। নির্ধারিত ৪০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তোলে তারা। কৃষ্ণেন্দু ভুঁইমালি ৬৪ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন। সুমন গুপ্ত এবং মির নাসের আলি করেন ২৪ রান। পানিহাটির দিলীপ বিশ্বাস, রাজু হালদার ও অনুপ ভাস দু’টি করে উইকেট দখল করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পানিহাটি স্পোর্টিং ক্লাবের ছেলেরা ভালই শুরু করেছিলেন। রাজেশ ওঁরাও (২৮ বলে ২১) এবং প্রসেনজিৎ দাস (৩১ বলে ৪৮) রান পান। কিন্তু মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা তেমন রান পাননি। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের রাশ ধরেন প্রলয় দে। দলের একাদশ ব্যাটসম্যান অনুপ ভ্যাসকে সঙ্গে নিয়ে একক দক্ষতায় ম্যাচ বের করে নেন প্রলয়। ৫৪ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থেকে ম্যাচের সেরা হন তিনি। অনুপের করা ৮ বলে ৫ রানও ম্যাচ পরিস্থিতির বিচারে গুরুত্বপূর্ণ। এ টু জেড ক্লাবের রাঘব তিবরিওয়ালা ৮ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৪টি উইকেট পান। অরবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় পান ২টি উইকেট। ফাইনালটি পরিচালনা করেন সিএবির পাঠানো দুই আম্পায়ার উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইনালে মাঠে উপস্থিত ছিলেন সিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট সমর পাল ও সুদীপ্ত বিশ্বাস। ছিলেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, মেয়র পারিষদ (ক্রীড়া) শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়, বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের মুখ্য নির্বাচক উদয়ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রয়াত ক্রীড়া প্রশাসক শিবপ্রসাদ হাজরার সহধর্মিনী প্রীতি হাজরা।