—প্রতীকী চিত্র।
সরকারি জমিতে আগেই ছিল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়। এখন সেটি দোতলা করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কংক্রিটের স্তম্ভও উঠেছে ছাদে। এই ছবি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের শেঠপুকুর এলাকার। সরকারি জমি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে যেখানে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, সেখানে এই ভাবে দলীয় কার্যালয় বহাল তবিয়তে থেকে যাওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
পুরসভা ও তৃণমূল সূত্রের খবর, বারাসত পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের শেঠপুকুর এলাকায় সরকারি জমিতে কয়েক বছর আগে কার্যালয়টি করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। বারাসত পুরসভা তখন তাদের জমিতে ওই নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল। তৃণমূলের একাংশের দাবি, বারাসত পুরসভায় তৃণমূল বোর্ড গঠনের পরে বেশ কিছু জায়গা এ ভাবে দখল হয়েছিল। এখন মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরে সেই সব জায়গা দখলমুক্ত করতে দলের অন্দরেই কোন্দল তৈরি হচ্ছে।
ওই ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি অভিজিৎ নাগচৌধুরী বলেন, ‘‘এই কার্যালয় সম্পর্কে আমার জানা নেই। যা হয়েছে, সব আজ থেকে ১২ বছর আগে। সে সময়ে আমি পুরপ্রতিনিধি ছিলাম না। তৎকালীন পুরপ্রতিনিধি এবং তৎকালীন পুরপ্রধান সব বলতে পারবেন।’’ বারাসত পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্থানীয় লোকজন ওই জায়গা দখল করে নিচ্ছিল। বোর্ডের মতামত নিয়েই কার্যালয়ের জন্য ওই জমি দেয় পুরসভা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে যদি পুরসভা বা প্রশাসন চায়, তা হলে কার্যালয় ভেঙে দিক।’’ খোকন মল্লিক ও গোপাল পাল নামে দুই তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘‘ওই কার্যালয়ের জন্য পুরসভায় কর দেওয়া হয়। প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা মেনে নেব।’’
স্থানীয় বিজেপি নেতা তাপস মিত্র বলেন, ‘‘তৃণমূলের কর্মীরা ওঁদের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর কথাই শুনছেন না। প্রশাসনের কাছে আবেদন, ওই জমি দখল মুক্ত করা হোক।’’
রবিবার প্রশাসনের তরফে জমি মাপা হয়। সূত্রের খবর, ফুটপাত দখল করে কার্যালয় তৈরি হয়েছে কিনা, তা দেখা হয় এ দিন। এ বিষয়ে বারাসত ব্লক ১-এর বিএলআরও সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোন ও মেসেজে যোগাযোগ করা যায়নি।