Durga Puja 2020

আকাশে কালো মেঘ, মণ্ডপ ফাঁকাই

ডায়মন্ড হারবারে এ দিন সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যার পরেও শহরে ভিড় চোখে পড়েনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২০ ০০:২৬
Share:

কোথাও কোথাও ফাঁকা থাকলেও ক্যানিংয়ের একটি মণ্ডপে ভিড়ের চিত্র। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা

সকালের বৃষ্টি থামল দুপুর পার করে। মণ্ডপে যখন বোধন চলছে, ষষ্ঠী-সন্ধ্যার আকাশ তখনও কালো মেঘে ঢাকা। আগামিতে কী হবে বলা মুশকিল, তবে পুজোর মুখবন্ধে ভিড়-বর্জিতই রইল দুই ২৪ পরগনার পুজো মণ্ডপ। ভিড় সামলাতে গুচ্ছ নির্দেশ জারি করেছে আদালত। ভিড় না জমায় বৃহস্পতিবার রাতে কিছুটা স্বস্তির শ্বাস ফেলল পুলিশ। তবে রাত বাড়তেই বনগাঁ-সহ কিছু এলাকায় মোটরবাইকে সওয়ার দর্শনার্থীর ভিড় বেড়েছে।

Advertisement

বনগাঁ শহরে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় তেমন ভিড় হয়নি। অন্য বছরগুলিতে শহরের বাইরে থেকে প্রচুর লোকজন আসতেন প্রতিমা দর্শন করতে। এবার সেই ভিড় নেই। বড় পুজো মণ্ডপে ‘নো-এন্ট্রি’ লেখা বোর্ড ঝুলছে। স্থানীয় লোকজন এলেও কাউকে মণ্ডপের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দূর থেকেই মণ্ডপ দেখে ফিরতে হচ্ছে তাঁদের। তবে সেই ভিড়ও অন্যান্য বারের মতো নয়। বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় অনেকেই বাইরে বেরোনোর ঝুঁকি নেননি। বড় যানবাহন শহরে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও মণ্ডপেই জায়েন্ট স্ক্রিন বসেনি। তবে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরে বাইকে করে পুজো দেখার ভিড় বাড়ে।

ডায়মন্ড হারবারে এ দিন সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যার পরেও শহরে ভিড় চোখে পড়েনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ কচিকাঁচাদের নিয়ে সাইকেলে-মোটরবাইকে প্রতিমা দর্শনে বের হন। রাতের দিকে ভিড় কিছুটা বাড়ে। আদালতের নির্দেশ মতো সব পুজো মণ্ডপের সামনেই ব্যারিকেড করা হয়েছে। প্রশাসনের ধারণা, লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় তেমন ভিড় হবে না। তবে এ দিন কোনও পুজো মণ্ডপের বাইরে মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিলি চোখে পড়েনি।

Advertisement

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের কিছু মণ্ডপের বাইরে জায়েন্ট স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। পলতা, ইছাপুর, শ্যামনগর, নৈহাটি, কাঁচরাপাড়ায় কিছু মণ্ডপের সামনে এ দিন সামান্য ভিড় থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। এখানকার সব বড় পুজোই এ বার সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ পুজো দেখানোর ব্যবস্থা করেছে। বসিরহাটে মণ্ডপ দূরের কথা, সন্ধ্যার পরে রাস্তাঘাটও ছিল সুনসান। দর্শনার্থী যেমন ছিল না, তেমন চোখে পড়েনি পুলিশও।

ষষ্ঠীর দিন সকাল থেকেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল ক্যানিং জুড়ে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েও ভিড় জমিয়েছিলেন দর্শনার্থীরা। সন্ধ্যার পরে ছোট ছোট দলে দর্শনার্থীরা মণ্ডপের বাইরে ভিড় জমান। তবে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবার প্রায় সব মণ্ডপ খোলা ছিল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যারিকেড করা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement