জট কাটিয়ে নির্মাণের আশা

বহু বছর ধরেই ওই ঘাট দিয়ে দু’টি জেলার মধ্যে পারাপার চলে। নুরপুর থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালি পর্যন্ত একটি লঞ্চ চলে। অন্যটি নুরপুর থেকে হাওড়ার গাদিয়াড়া পর্যন্ত যায়। কিন্তু দু’টি ঘাটই বিপজ্জনক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৭ ০৯:২০
Share:

ঝুঁকি: কবে বদলাবে পরিস্থিতি। ছবি: দিলীপ নস্কর

ভাঙাচোরা জেটিঘাট নতুন করে তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। কিন্তু জমিজটের জন্য কাজ আটকে ছিল মাস কয়েক ধরে। ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লকের নুরপুরে হুগলি নদীর ধারে জেটিঘাট নির্মাণ না হওয়ায় বিপদের আশঙ্কা নিয়েই চলছে লঞ্চে ওঠানামা। তবে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন দফতর সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, আপাতত জমিজটের বিষয়ে সমাধান করা গিয়েছে। সামনেই ষাঁড়াষাড়ির কোটাল। তার আগে নির্মাণের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

Advertisement

বহু বছর ধরেই ওই ঘাট দিয়ে দু’টি জেলার মধ্যে পারাপার চলে। নুরপুর থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালি পর্যন্ত একটি লঞ্চ চলে। অন্যটি নুরপুর থেকে হাওড়ার গাদিয়াড়া পর্যন্ত যায়। কিন্তু দু’টি ঘাটই বিপজ্জনক। একটি লম্বা কাঠের নড়বড়ে জেটি। আর অন্যটির ক্ষেত্রে বাঁধের উপরে পাটাতন ফেলে লঞ্চ থেকে যাত্রীরা ওঠানামা করেন। এ ভাবে পারাপার করতে গিয়ে যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

মাস কয়েক আগে হুগলির তেলেনিপাড়া ঘাট ভেঙে প্রাণহানির ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসে জলপথ পরিবহন দফতর। মুখ্যমন্ত্রী জেলার প্রশাসনিক বৈঠকেও বেহাল ঘাটের সংস্কার নিয়ে সরব হন। তারপরেই ওই নুরপুর ঘাটের কাছে একটি ভাসমান জেটিঘাট নির্মাণের জন্য হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন দফতর থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাঁধ-লাগোয়া কিছুটা অংশে মাটি ফেলার কাজ হয়েছে মাত্র। তারপরে আর কাজ এগোয়নি।

Advertisement

বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজনের বাধায় কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। তাঁরা জমি দখল করে ভুটভুটি তৈরি করতে চান। ওই ভুটভুটি আবার সরকারের কাছে বিক্রি করবেন তাঁরা। জেটি হলে ভুটভুটি তৈরির জায়গা থাকবে না। হুগলি জলপথ পরিবরণ দফতরের গাদিয়াড়া ইউনিটের আধিকারিক উত্তম রায়চৌধুরী জানান, জেটি না থাকায় লঞ্চে ওঠানামার সময়ে দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। তা ছাড়া, ওই ঘাট দিয়ে হুগলি, রূপনারায়ণ ও সাগর নদী পার হতে হয়। তাঁর কথায়, ‘‘জলের স্রোত বেশি থাকায় লঞ্চ বাঁধের গায়ে থামাতে সমস্যা হয়। দ্রুত ঘাটটি নির্মাণ হলে সুবিধা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement