আনন্দবাজারের সাফল্য

মমতার ধমকে সুরাহা, চালু হল নতুন বাসরুট

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে অবশেষে চালু হল উত্তর ২৪ পরগনার ধামাখালি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মধুখালি পর্যন্ত এসভি-৮৫ রুটের বাস। বৃহস্পতিবার ধামাখালিতে সরকারি ভাবে এই বাস রুটের উদ্বোধন করা হলেও ক্যানিংয়ে উদ্বোধন করেন ক্যানিং-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরেশরাম দাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং ও বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৬ ০২:১৩
Share:

রূপান্তর। রেলের উচ্চ পর্যায়ের কর্তারা স্টেশন পরিদর্শনে আসছেন আজ, শুক্রবার। তার আগে তড়িঘড়ি বৃহস্পতিবার হকারমুক্ত করা হল হাবরা স্টেশন। কিন্তু এই চিত্র কত দিন থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল নিত্যযাত্রীদের। ছবি তুলেছেন শান্তনু হালদার।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে অবশেষে চালু হল উত্তর ২৪ পরগনার ধামাখালি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মধুখালি পর্যন্ত এসভি-৮৫ রুটের বাস। বৃহস্পতিবার ধামাখালিতে সরকারি ভাবে এই বাস রুটের উদ্বোধন করা হলেও ক্যানিংয়ে উদ্বোধন করেন ক্যানিং-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরেশরাম দাস।

Advertisement

গত বছর বারুইপুরের টংতলায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এই বাস রুটের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো বাস মালিকেরা এই রুটে ১৮টি বাস কিনে পথে নামাতে গেলে বিপত্তি বাধে। উত্তর ২৪ পরগনার সরবেড়িয়ার তৃণমূল নেতা শাহাজান শেখ বাস চালু করতে বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ছিল, শাজাহান বেআইনি অটো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই রুটে বাস চালু হলে অটো ব্যবসা মার খাবে, এই আশঙ্কা থেকেই বাস চালু করতে বাধা তৈরি করেছিলেন তিনি।

আনন্দবাজারে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে ঘটনার কথা কানে যায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। সপ্তাহ দু’য়েক আগে কালীঘাটের বাড়িতে দলের নেতা, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখানেই শাজাহানকে ডেকে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাম আমলের ডাকাবুকো নেতা শাজাহান রাজ্যের শাসনভার হস্তান্তরের আগে থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। হাতে ক্ষমতাও আসে। ফলে বাম আমল থেকে শুরু করে পরিবর্তনের জমানাতেও এলাকায় শাজাহানের দাপট অক্ষুণ্ণ। মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে তাতে কোনও পরিবর্তন আসে কিনা, তা দেখার জন্য অপেক্ষায় আছেন স্থানীয় মানুষও। তবে মমতার বকুনির পরে বৃহস্পতিবার থেকে বাস চালু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন শাজাহান।

Advertisement

ক্যানিং-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরেশরাম দাস বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এই বাস রুট চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু বেআইনি অটোর সঙ্গে যুক্ত লোকজন বাস রুট চালু করতে দিচ্ছিল না। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবং প্রশাসনিক উদ্যোগে এই রুট চালু করা সম্ভব হল।’’ শাজাহান এ দিন বলেন, ‘‘পরিকাঠামোগত কিছু কারণে বাস চলাচলে সমস্যা ছিল। সে কারণেই যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে অটো চলতে শুরু করে এই রাস্তায়। জেলা পরিষদের পূর্ত ও সড়ক দফতরের কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামীর সঙ্গে আলোচনার পরে সমস্যাগুলি মিটে গিয়েছিল।’’ তাঁর দাবি, ৭ তারিখ যে বাস চলবে, তা অনেক আগেই ঠিক ছিল। সেই মতোই এ দিন রুটের উদ্বোধন হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement