স্কুলে মাল্টিজিম, এ বার রাস্তা সারাই কবে, প্রশ্ন পড়ুয়াদের

রাস্তাঘাটের সমস্যা আছে এখনও। স্কুলে ল্যাবরেটরি, অডিটরিয়াম নেই। ছেলেমেয়েরা ঠিক মতো পানীয় জল পায় না বলে অভিযোগ। শৌচালয়ের সংখ্যা কম প্রায় সাড়ে ৯০০ পড়ুয়ার জন্য। মিড ডে মিল খাবার জন্য আলাদা ঘর নেই।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

রায়দিঘি শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৬
Share:

এই রাস্তা পেরিয়েই আসতে হয় স্কুলে। নিজস্ব চিত্র।

রাস্তাঘাটের সমস্যা আছে এখনও। স্কুলে ল্যাবরেটরি, অডিটরিয়াম নেই। ছেলেমেয়েরা ঠিক মতো পানীয় জল পায় না বলে অভিযোগ। শৌচালয়ের সংখ্যা কম প্রায় সাড়ে ৯০০ পড়ুয়ার জন্য। মিড ডে মিল খাবার জন্য আলাদা ঘর নেই।

Advertisement

মথুরাপুর ২ ব্লকের নন্দকুমার পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত এলাকা জয়কৃষ্ণপুর এএন বিদ্যাপীঠ হাইস্কুল পেল ঝাঁ চকচকে মাল্টিজিম।

ছেলেমেয়েরা এখানে শরীরচর্চা করলে পড়াশোনাতেও আরও মনঃসংযোগ বাড়বে, মনে করেন প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্রনাথ নাইয়া। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি সাহায্যে পরিকাঠামো অনেকটাই উন্নত হয়েছে। কিছু সমস্যা থেকে গিয়েছে। আস্তে আস্তে সবই হবে আশা করছি।’’

Advertisement

স্কুলের যে ভোলবদল হচ্ছে ধীরে ধীরে, তা অবশ্য চোখেও পড়ে। সাদা রঙের ঝকঝকে তিনতলা ভবন। শ্রেণিকক্ষে ঢোকার মুখে মনীষীদের ছবি। পাশেই ছাত্রনিবাস। ১৯৬৯ সালে সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে আসতে শুরু করেছে সরকারি সাহায্য। তবে পড়ুয়াদের সংখ্যার তুলনায় ২১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা যথেষ্ট নয়, মনে করেন প্রধান শিক্ষকও। আরও ৮ জন শিক্ষকের প্রয়োজন। অনেকে চাকরি পেলেও রাস্তাঘাটের সমস্যার জন্য চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে স্কুল সূত্রের খবর। সে কারণেই ২০১১ সালে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা গেলেও শিক্ষকের অভাবে বছর তিনেক ধরে তা বন্ধ।

এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞান পড়তে চাইলে ছেলেমেয়েদের প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে রায়দিঘির স্কুলে যেতে হয়। অনেক দুঃস্থ পরিবারের পক্ষে তা অসুবিধার।

এত সমস্যার মধ্যেও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সুন্দরবন রেপার্টরি থিয়েটার গ্রুপ তৈরি করেছেন প্রধান শিক্ষক। স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিয়ে নাটক পরিবেশন করে ২০১৬ সালে জেলা স্তরে সেই দল প্রথম স্থান পেয়েছে। ইয়ুথ পার্লামেন্ট প্রতিযোগিতায় ব্লক ও রাজ্যে স্তরে সুনাম পেয়েছে স্কুলের ছেলেমেয়েরা। সর্বশিক্ষা মিশনের টাকায় তৈরি হয়েছে কম্পিউটার রুম, জেলা যুবকল্যাণ দফতরের আর্থিক সাহায্যে এ বার তৈরি হল মাল্টিজিম।

সম্প্রতি সেটির উদ্বোধন করেন এলাকার বিধায়ক দেবশ্রী রায় ও সাংসদ চৌধুরীমোহন জাটুয়া।

তবে কয়েকজন ছেলেমেয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মাল্টিজিম চালু হয়েছে খুব ভাল কথা। কিন্তু এর থেকেও অনেক জরুরি ছিল স্কুলের সামনের রাস্তার সংস্কার বা বিজ্ঞান বিভাগে পঠনপাঠন চালু করা। রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা মেনে নিয়ে সাংসদ বলে গিয়েছেন, পঞ্চায়েত সমিতি থেকে দ্রুত প্রকল্প পাঠাতে বলা হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement