Panihati

পানিহাটির জঞ্জাল সমস্যা মেটাতে বৈঠক, নতুন ভাগাড়ের জন্য বিকল্প জমির প্রস্তাব

কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে পানিহাটি পুরসভার যে জমি রয়েছে, সেটি তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫৪
Share:
গত দেড় বছর ধরে পানিহাটিতে জঞ্জাল ফেলা নিয়ে সমস্যা চলছে।

গত দেড় বছর ধরে পানিহাটিতে জঞ্জাল ফেলা নিয়ে সমস্যা চলছে। —ফাইল চিত্র।

পানিহাটিতে জঞ্জাল নিয়ে সমস্যা দীর্ঘ দিনের। সমাধানের পথ বার করতে বৃহস্পতিবার পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হলেও স্থায়ী কোনও রফাসূত্র মেলেনি বলেই খবর। বরং, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে পানিহাটি পুরসভার যে জমি রয়েছে, সেটি তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত। তার বদলে জনবসতিহীন এলাকায় সম পরিমাণ জমি ভাগাড় তৈরির জন্য পুরসভাকে দেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।

Advertisement

সূত্রের খবর, গত দেড় বছর ধরে পানিহাটিতে জঞ্জাল ফেলা নিয়ে সমস্যা চলছে।
রামচন্দ্রপুরে জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ভাগাড় সরানোর দাবিতে চলছে আন্দোলন। পরিস্থিতি সামলাতে পানিহাটি থেকে আবর্জনা তুলে এনে ধাপায় ফেলছে কেএমডিএ। কিন্তু সেই ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত নয়। পানিহাটিতে দৈনিক গড়ে ১৬০ থেকে ১৭০ টন আবর্জনা সংগ্রহ
করা হয়। কিন্তু তা ফেলার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা মিলছে না বলেই খবর। ফলে, পানিহাটি কার্যত ‘জঞ্জাল নগরী’-তে পরিণত হয়েছে বলেই অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, খড়দহের বিলকান্দা-১ পঞ্চায়েতের মহিষপোঁতায় ৪.৩২৫ একর জমি রয়েছে পানিহাটি
পুরসভার। গত কয়েক বছর ধরে সেখানে স্থায়ী ভাগাড় তৈরির চেষ্টা হলেও স্থানীয়দের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। এবং তাতে সমর্থন রয়েছে খড়দহের বিধায়ক থেকে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষেরও।

সম্প্রতি পানিহাটির নতুন পুরপ্রধান সোমনাথ দে দায়িত্ব নেওয়ার পরে ভাগাড় সমস্যা নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে তদ্বির শুরু করেন। সেই মতো এ দিন ব্যারাকপুর ও দমদমের
সাংসদ, পানিহাটি ও খড়দহের বিধায়ক, ব্যারাকপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিলকান্দা-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ অনেককে নিয়ে বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে সোমনাথ জানান, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারের জমি ছাড়া আর কোনও বিকল্প জায়গা তাঁদের নেই। সেখানে আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প তৈরি হলে কোনও দূষণ ছড়াবে না। কিন্তু তাতে আপত্তি জানিয়ে পঞ্চায়েতের তরফে অন্য জমির প্রস্তাব দেওয়া হয়। আজ, শুক্রবার কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা সেই জমি পরিদর্শন করে তা ভাগাড় তৈরির উপযুক্ত কিনা, সেই বিষয়ে দফতরকে রিপোর্ট দেবেন।

Advertisement

অন্য দিকে, পুরসভা সূত্রের খবর, নতুন জমি পছন্দ হলে দ্রুত হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভাগাড় সরানোর কাজ শুরু করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement