উৎসবের মরসুমে সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা হল ভারত-বাংলাদেশের। পুলিশ-প্রশাসনের কর্তা এবং সীমান্তরক্ষীরা ছিলেন বৈঠকে।
বুধবার হাসনাবাদের টাকিতে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন বাংলাদেশের সাথক্ষিরার শ্রীপুর ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান আবুবক্কর গাজি, দেভাটা থানার ওসি এবং বিবিজি-র কর্তারা। এ দিক থেকে ছিলেন টাকির পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, বসিরহাটের এসডিপিও, হাসনাবাদ থানার ওসি, আইসি এবং বিএসএফের ১০৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কোম্পানি কম্যান্ডার। দু’দেশের আধিকারিকদের মধ্যে ভাসানের দিন টাকির ইছামতীতে দর্শনার্থীদের সুরক্ষা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এ দিকে, সীমান্তে পুলিশ এবং বিএসএফের যৌথ অভিযানে বসিরহাট ছেড়ে সুন্দরবন-লাগোয়া এলাকা দিয়ে বাংলাদেশি পারাপার বাড়ায় চিন্তিত প্রশাসন। মঙ্গলবার গভীর রাতে সুন্দরবন-লাগোয়া হেমনগর উপকূলবর্তী থানার সামশেরনগর থেকে ৪ বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত মহম্মদ রানা শেখ, সম্রাট গাজি, আমিরুল গাজি এবং মহম্মদ রসিদুল গাজির বাড়ি সাথক্ষিরা ও যশোরে। পুলিশের দাবি, জেরায় বছর কুড়ি-বাইশের ওই যুবকেরা দাবি করেছে, কাজের খোঁজে তারা অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে কালিন্দী নদী হয়ে এ পারে এসেছে। এই বক্তব্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনের মধ্যে জঙ্গল-লাগোয়া নদীর পাড় থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বাংলাদেশিদের গ্রেফতার করা হল। আগের বার ধরা পড়েছিল ন’জন।
অন্য দিকে, বসিরহাট শহরের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে পুজোর আগে বসিরহাট শ্মশানের পাশে ইছামতী নদীর ধারে চোলাইয়ের ঠেকে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কয়েকটি ঠেক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কয়েকশো লিটার মদ এবং মদ রাখার সরঞ্জাম আটক করা হয়েছে। ধরা পড়েছে তিন চোলাই বিক্রেতা।
এ ছাড়াও, মহকুমার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিভিন্ন এলাকায় মোবাইলের নকল সিম বিক্রেতাদের ধরতে অভিযান চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কিছু নথিবিহীন জাল সিম আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।