তরুণীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হল প্রেমিক।
জানুয়ারি মাসে মারা যান রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী মিলি বেরা। বসিরহাট থানার ছোট জিরাকপুরের স্কুলপাড়ার মেধাবী ছাত্রীটির মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল গোটা এলাকা।
পুলিশ জানতে পারে, ভিন রাজ্যে পালিয়েছিল মিলির প্রেমিক বিশ্বজিৎ সর্দার ওরফে ঝন্টু। কিন্তু পুলিশের নজর ছিল তাঁর উপরে। শেষমেশ, কেরলের থিরুর থানা এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক ধরে মিলির সঙ্গে পাড়ারই ছেলে পেশায় রাজমিস্ত্রি ঝন্টুর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পড়াশোনার খরচ চালাতে মিলি গৃহশিক্ষকতার পাশাপাশি বিউটি পার্লারেও কাজ নিয়েছিলেন। নানা কারণে প্রেমিকের হাতে কয়েক ভরি সোনা-রুপোর গয়না, কয়েক হাজার টাকা তুলে দেন মিলি।
কিন্তু অভিযোগ, বছরখানেক ধরে হচ্ছে মিলি বিয়ের কথা বললে এড়িয়ে যেতেন বিশ্বজিৎ। মিলি টাকা চাইতে বিশ্বজিতের বাড়িতে গেলে সেখানে দু’জনের ঝগড়া বাধে। অভিযোগ, সে সময়ে বিশ্বজিৎ মিলিকে মারধর করলে গুরুতর জখম হন ওই তরুণী। তাঁকে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পাঠানো হয় কলকাতায়। সেখানেই মারা যান মিলি।
সে খবর জানতে পেরে বাড়ি ছেড়ে পালান বিশ্বজিৎ। ছেলেকে সাহায্য করার জন্য পুলিশ তাঁর মা সন্ধ্যা সর্দারকে গ্রেফতার করলেও বিশ্বজিতের খোঁজ মিলছিল না।
বসিরহাট থানার পুলিশ বিশ্বজিতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে জানতে পারে, ওই যুবক বার বার জায়গা বদলে ফেলছেন। পুলিশও তার পিছু নেয়। শেষে কেরলের একটি বাড়ি থেকে তাঁকে ধরা হয়।