বসিরহাটে স্টং রুম পাহারা। ছবিটি তুলেছেন নির্মল বসু।
ইভিএম পাহারায় রাত জাগলেন বসিরহাটের তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও।
রবিবার ভোটের রাত থেকেই ১৮৬১টি বুথের ইভিএম-ভিভিপ্যাট পৌঁছে যায় ১৪টি জায়গায়। ২০ মে সকাল ৮টার মধ্যে ওই সব ইভিএম-ভিভিপ্যাট পৌঁছে দেওয়া হয় বসিরহাট লোকসভার গণনাকেন্দ্র ভ্যাবলা পলিটেকনিক কলেজের স্টং রুমে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ভিডিও ক্যামেরায় তুলে রাখা হয় সেই প্রক্রিয়ার ছবি। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো রাত থেকে স্ট্রং রুমের বাইরে পাহারায় বসে যান তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস দলীয় সহকর্মীদের নিয়ে পাহারায় বসেন। দীপেন্দু বলেন, ‘‘স্ট্রং রুমে ঢোকার পথে আমাদের ছেলেরা শিবির করে দিন-রাত পালা করে পাহারা দিচ্ছেন।’’
আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু গণনা। ভ্যাবলার বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির জন্য বাঁশ, গার্ডরেল দিয়ে আলাদা আলাদা জায়গায় ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির জন্য।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে রিটার্নিং অফিসার শঙ্করপ্রসাদ পাল জানান, গণনা কেন্দ্রের বাইরে ত্রি-স্তর নিরাপত্তার ঘেরাটোপ থাকবে। তিনটি প্রবেশপথ করা হয়েছে। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য আলাদা ঘরে গণনা হবে। ১৪টি করে টেবিল থাকবে। সন্দেশখালি, মিনাখাঁর জন্য ১৮ রাউন্ড, হিঙ্গলগঞ্জ ১৯ রাউন্ড, বাদুড়িয়া, হাড়োয়া ২০ রাউন্ড, বসিরহাট উত্তর ও দক্ষিণ ২১ রাউন্ড গণনা হবে।’’ গননা কেন্দ্রে থাকছেন নির্বাচন কমিশনের অবজার্ভার অরুণ বি উনহালে, সুবিকাশ দেবশর্মা এবং মুরলীধর মল্লিক।
নির্বাচন দফতর ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গণনা কেন্দ্রের মধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন দু’শোর বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। বাইরে থাকছে তিনশোর বেশি পুলিশ। নিরাপত্তার জন্য গণনা কেন্দ্র-সহ আশেপাশের এলাকাতেও নজরদারির জন্য লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। বুধবার সকাল সাড়ে ৫টায় গণনা কেন্দ্রের বাইরে ‘পজিশন’ নেবে পুলিশ। সকাল ৬টায় ত্রিস্তর নিরাপত্তা পেরিয়ে পরিচয়পত্র দেখিয়ে কাউন্টিং এজেন্টকে ঢুকতে হবে গণনাকেন্দ্রে। ৭টায় পোস্টাল ব্যালট এবং ৮টায় ইভিএম গণনার কাজ শুরু হবে। একটি বিধানসভায় ১৪টি টেবিলে গণনা শুরু হবে।
পুরো ফল পেতে বেলা গড়িয়ে যেতে পারে। সে জন্য গণনা কেন্দ্রে খাবার, জল, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রের খবর। রমজান মাসে যাঁরা রোজা রাখেন, তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকেও লক্ষ রাখা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষে জানানো হয়েছে, গণনা কেন্দ্রের মধ্যে মোবাইল, জলের বোতল, লাইটার, দেশলাই, বিড়ি, সিগারেট-সহ কোনও রকম দাহ্যবস্তু নিয়ে যাওয়া যাবে না।