মিছিল: পাওয়ার গ্রিড-সংলগ্ন গ্রামে। নিজস্ব চিত্র
ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড এলাকায় প্রচার শুরু করলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর পাশে ছিলেন পাওয়ার গ্রিড বিরোধী জমি কমিটির সদস্যেরা। ছিলেন নকশাল নেতা অলীক চক্রবর্তীও।
সোমবার সকাল থেকে ভাঙড়ের পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের মাছিভাঙ্গা, নতুনহাট, ঢিবঢিবা, স্বরূপনগর, উড়িয়াপাড়া, মিদ্দেপাড়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় হুডখোলা গাড়িতে প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রচার করেন। তার আগে মাছিভাঙ্গা গ্রামে বিকাশকে স্বাগত জানান জমি কমিটির মুখপাত্র তথা নকশাল নেতা অলীক।
প্রচারে শতাধিক মোটরবাইক নিয়ে মিছিলে যোগ দেন অনেকে। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের মৌখিক অভিযোগে পুলিশ গাজিপুরের কাছে বাইক মিছিল আটকে দেয়। পরে অবশ্য জমি কমিটি বাইক মিছিল বন্ধ করে ১০টি গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী
প্রচার সারে।
বাইক মিছিল প্রসঙ্গে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা তথা ভাঙ্গড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘ওঁরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে অমান্য করছে। গায়ের জোরে সব কিছু করতে চাইছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাব।’’
জমি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা হাসান বলেন, ‘‘আমাদের মিছিলে যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরবাইকে করে লোকজন আসেন। প্রশাসন বারণ করায় মিছিলে আর কোনও বাইক ছিল না। আমরা কয়েকটি গাড়ি নিয়ে ও পায়ে হেঁটে নির্বাচনী প্রচারে সামিল হই। কমিশনের নির্দেশকে অমান্য করিনি।’’
এক সময়ে ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের জেরে ওই সব এলাকা এক সময়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। আন্দোলনের জেরে তিন যুবকের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। আক্রান্ত হন পুলিশ কর্মীরাও।
ওই ঘটনায় জমি কমিটির কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা করে। জমি কমিটির হয়ে আইনি লড়াই করেন বিকাশরঞ্জন। অভিযুক্তেরা পর্যায়ক্রমে জামিন পান।
এ বার লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল জমি কমিটি তথা নকশাল সংগঠন রেড স্টার। পরে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএমের টিকিটে ভোটে দাঁড়ানোয় জমি কমিটি তাঁকে সমর্থন করে নিজেরা প্রার্থী দেয়নি।।