প্রতীকী ছবি।
কামারহাটিতে বোমা ফেটে দুই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ির মালিককে সোমবার গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতের ওই ঘটনার পরে শাহাজাদ হুসেন মল্লিক নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল। এ দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর ঘরে কী ভাবে এবং কোথা থেকে বোমা এল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এ দিন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (দক্ষিণ) আনন্দ রায় বলেন, ‘‘ঘটনাস্থল থেকে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’ গলিঘাটের ওই ঘটনার পরে স্থানীয়েরা দাবি করেন, ওই ঘরে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, ঘরের মেঝেয় বিছানার নীচে ওই বোমা লুকিয়ে রাখা ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় বিয়েবাড়ির খাওয়াদাওয়া সেরে শাহাজাদের টালির চালের ওই ঘরে শুতে এসেছিলেন মহম্মদ সাজিদ ও মহম্মদ রাজা নামে ওই দুই যুবক। তখনই বিস্ফোরণ হয়।
ওই বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন মহম্মদ আনিশ নামের আরও এক যুবক। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে স্প্লিন্টার ঢুকে গিয়েছিল। সেই রাতে তাঁর অস্ত্রোপচার হলেও বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
ঘটনার পর থেকে ওই ঘরের সামনে পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে। বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে টালির চালের একাংশ। এ দিনও ঘরের দেওয়ালে শুকনো রক্ত দাগ লেগে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সন্ধ্যে হলেই কামারহাটির গঙ্গার পাড় ঘেঁষা এই এলাকায় বহিরাগত দুষ্কৃতীদের ভিড় বাড়ছে। কিন্তু কী কারণে ওই ঘরে বোমা মজুত রাখা হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে।