—ফাইল চিত্র।
গৃহকর্মী থেকে শুরু করে বিউটিশিয়ান, এমনকি ফিজ়িয়োথেরাপিস্টেরও খোঁজ দিচ্ছে পুরসভা। করোনা পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁদের কাছে বিভিন্ন পেশার লোকজনকে পাঠানোর এই পরিষেবা চালু করেছেন খড়দহ পুর কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি রাজ্য সরকারের ‘স্বয়ংসিদ্ধা’ প্রকল্পের অধীনে রহড়ার পূর্বাচলে চালু হয়েছে এই ‘নগর জীবিকা কেন্দ্র’। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, লকডাউনের ফলে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আবার বাসিন্দারাও বিভিন্ন কাজের জন্য কোথায় সহজে লোক পাবেন, তা ভেবে দিশাহারা হয়ে পড়ছেন। সেই কারণে পরিষেবার বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে সেতু গড়তেই তাঁদের এই উদ্যোগ।
পুরসভা সূত্রের খবর, আপাতত ২২ জন কাঠের মিস্ত্রি, ৩০ জন বিউটিশিয়ান, ৫০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আয়া, পাঁচ জন মার্বেল মিস্ত্রি, ১০০ জন গৃহকর্মী, দু’জন রাজমিস্ত্রি, ২০ জন ফিজ়িয়োথেরাপিস্ট, ১০০ জন গৃহশিক্ষক ও কয়েক জন ইলেকট্রিশিয়ানের নাম নথিভুক্ত হয়েছে ওই নগর জীবিকা কেন্দ্রে। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান কাজল সিংহ বলেন, ‘‘লকডাউনের ফলে এক শ্রেণির মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। অন্য দিকে, মানুষেরও দৈনন্দিন প্রয়োজন রয়েছে। দু’টির মধ্যে সংযোগ তৈরি করে দিলে উভয় পক্ষই লাভবান হবেন।’’
পুর কর্তৃপক্ষ জানান, ওই তালিকায় খড়দহের বাসিন্দাদের নামই নথিভুক্ত করা হচ্ছে। পুরসভার ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে মিলছে পরিষেবা। যিনি ফোন করছেন, তাঁর প্রয়োজনটি জেনে নিয়ে প্রথমে দেখা হচ্ছে, তিনি কত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার পরে ওই ওয়ার্ডে সেই কাজের লোক কে রয়েছেন, তা দেখে যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছে পুরসভা।
প্রকল্পের ম্যানেজার সমর্পিতা রায় বলেন, ‘‘যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া পর্যন্তই আমাদের দায়িত্ব। পারিশ্রমিকের বিষয়টি গ্রাহক ও পরিষেবা প্রদানকারী— দু’জনে কথা বলে ঠিক করে নিচ্ছেন।’’ পুরকর্তারা জানান, পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ থাকলে তা-ও জানাতে পারবেন বাসিন্দারা। আবার নগর জীবিকা কেন্দ্রে খড়দহের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি আচার, পাঁপড়, বড়ির পাশাপাশি পোশাক, গয়না ও খেলনাও বিক্রি হচ্ছে। চলছে প্রশিক্ষণও। কাজলবাবু জানান, পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডে আর কী কী পেশার লোক কর্মহীন রয়েছেন, তা চিহ্নিত করার কাজও চলছে। পরিষেবার জন্য আলাদা ফোন নম্বরেরও ব্যবস্থা হবে।