কামারহাটি পুরসভা।—ফাইল চিত্র।
গোটা পুর এলাকায় বিভিন্ন কারণে দৈনিক প্রায় ২০-৩০ শতাংশ জল নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি সমীক্ষা করে এমনই তথ্য জেনেছেন কামারহাটি পুর কর্তৃপক্ষ।
পুরসভা সূত্রের খবর, বরাহনগর-কামারহাটি জয়েন্ট ওয়াটার ওয়ার্কস এবং ভূগর্ভস্থ জলপ্রকল্প থেকে যৌথ ভাবে গোটা এলাকায় জল সরবরাহ করা হয়। জলের বেগ ঠিক রাখতে দু’টি প্রকল্পই একসঙ্গে চালু রাখা হয়। যার ফলে সারা দিনে চার দফায় মোট আট ঘণ্টা জল পান কামারহাটি পুর এলাকার বাসিন্দারা। তা সত্ত্বেও মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে, কোনও এলাকায় জল সরু হয়ে পড়ছে। কোথাও বা জল ঠিক মতো আসছেই না। জলকষ্টের এই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে পুরকর্তারা দেখেছেন, বেশ কয়েকটি কারণে জল নষ্ট হওয়ার জন্যই ওই সব সমস্যা।
পুর কর্তারা জানান, অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, রাস্তার ধারে থাকা কল খোলার পরে আর বন্ধ করা হচ্ছে না। ফলে অনবরত কল থেকে জল পড়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও কলের মুখই ভেঙে গিয়েছে, যার জেরে জল নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি বহু আবাসন এবং বাড়ির জলাধারে ‘চেক ভাল্ভ’ লাগানো না থাকায় জল ভর্তির পরেও তা বেরিয়ে নষ্ট হচ্ছে।
কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা জানান, জল অপচয় রুখতে আপাতত কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেমন, যে সব এলাকার প্রতি বাড়িতে জলের সংযোগ রয়েছে। সেখানে রাস্তার কল তুলে নেওয়া হবে। পাশাপাশি কোথাও কল খোলা কি না দেখতে, পুরসভার নজরদারি বাড়ানো হবে। যে সব বাড়ি ও আবাসনের জলাধার থেকে জল বেরিয়ে নষ্ট হচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে পুরসভা চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করবে। গোপালবাবু বলেন, ‘‘এই সবের পরেও যদি বাসিন্দারা সচেতন না হন, তখন কড়া পদক্ষেপ নেবে পুরসভা।’’