পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উস্তির নিলকুঠি বাঁশতলা গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম হাকিমা বিবি (২২)। ধৃতের নাম আমিরুল মণ্ডল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে মগরাহাটের আমড়াতলা গ্রামের হাকিমা বিবির সঙ্গে নিলকুঠি বাঁশতলার যুবক, পেশায় অটোচালক আমিরুলের বিয়ে হয়। দম্পতির দু’টি সন্তান রয়েছে। হাকিমার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়েতে যৌতুক দেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকে আরও পণের দাবিতে হাকিমার উপরে অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কয়েক বার তাঁকে মারধর করে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিশি সভাও বসে একাধিকবার। সোমবার দুপুরে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীদের কাছে তাঁরা খবর পান, হাকিমা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর পরেই তাঁরা হাকিমার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন, ঘরের মেঝেয় তাঁর দেহ পড়ে রয়েছে। বাড়িতে আর কেউ নেই।
মেয়েটির এক আত্মীয় জানান, কী করে হাকিমা মারা গেলেন, শ্বশুরবাড়ির পড়শিদের থেকে তাঁরা তা জানতে চান। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তা থেকে মারপিট বেধে যায়। তাতে ৩ জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। বধূর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মৃতার ভাই হাবিবুল্লা শেখ দিদির স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, কীটনাশক খাইয়ে হাকিমাকে খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আমিরুলকে ধরা হয়। বাকিরা পলাতক। ধৃতকে আজ, মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে তোলা হবে।