ঘরের মধ্যে থেকে আগুনের হলকা বেরোচ্ছিল। অভিযোগ, প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন বাড়ি বাইরে থেকে বন্ধ। ঢুকে দেখা যায়, বাড়ির বৌ দাউ দাউ করে জ্বলছে।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন বধূকে। ঘটনাটি আত্মহত্যা না খুন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
বুধবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাড়োয়ার আমতার বাতাগাছি গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম তাহেরুন বিবি (২৪)। তাঁর ভাই জালাল মণ্ডল বোনের স্বামমী, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তেরা সকলেই পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে বাতাগাছির মুজফ্ফর মণ্ডলের সঙ্গে বাদুড়িয়ার গুড়দহ গ্রামের তাহেরুনের প্রেম করেই বিয়ে হয়। ওই দম্পতির দুই সন্তান। বিয়েতে ২০ হাজার টাকা নগদ এবং সোনাদানা দিয়েছিল মেয়ের পরিবার। কিন্তু মুজফ্ফরের দাবি ছিল, নগদ ১ লক্ষ টাকার। সেটা দিতে পারেননি তাহেরুনের দরিদ্র পরিবার।
সেই নিয়েই বিয়ের পরে গোলমাল শুরু। দুই পরিবারকে নিয়ে গ্রামে সালিশি বসেছিল। কিন্তু অশান্তি কমেনি। বুধবার ভোরে পড়শিরা দেখেন, মুজফ্ফরের বাড়িতে আগুন জ্বলছে। তাহেরুনের বাড়়ির লোকের অভিযোগ, বাড়ির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে ওই বধূকে উদ্ধার করে হাড়োয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃতার কাকা কুতুবউদ্দিন মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘আমাদের মেয়েকে মারধর করে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে গ্যাসের ওভেন খুলে তার মুখ চেপে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।’’