নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল হিঙ্গলগঞ্জ প্রশাসন । ছবি সংগৃহীত।
অভিভাবকের অমতে বছর ষোলোর এক কিশোরী তার পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে চেয়ে বাড়ি ছেড়েছিল। বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করে পাত্রপক্ষ। খবর পেয়ে চাইল্ড লাইন, পুলিশ ও বিডিও ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করলেন। সোমবার রাতে হিঙ্গলগঞ্জের ঘটনা।
পরিবারের সদস্যেরা প্রথমে বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। পরে মেয়েটি হাসনাবাদের বিডিও অলিম্পিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানায়, বাড়ি থেকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চেয়েছিল।
কিন্তু সে নিজের পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে চায় বলে তার কাছে চলে এসেছে। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে মেয়ের বাবাকে ডেকে পাঠানো হয়।
তিনি এসে মুচলেকা দিয়ে জানান, আঠারো বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না হলে মেয়ের বিয়ে দেবেন না। মেয়েটিও জানায়, আঠারো বছর না হলে সে-ও বিয়ে করবে না। পুলিশ মেয়েটিকে বাবার সঙ্গে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
চাইল্ড লাইনের তরফে কুদ্দুস গাজি বলেন, ‘‘আমরা মেয়েটির উপরে নজর রাখব, সে যেন পড়াশোনা করতে পারে। আঠারো বছর না হলে যেন বিয়ে না দেওয়া হয়।’’অলিম্পিয়া বলেন, “আমরা মেয়েটি এবং তার অভিভাবকদের বুঝিয়েছি। মেয়েটিকে বলা হয়েছে, পড়াশোনা চালাতে কোনও অসুবিধা হলে যেন প্রশাসনকে জানায়।’’
অন্য একটি ঘটনায়, পনেরো বছরেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল এক নাবালিকার। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হোমে পাঠাল পুলিশ। হাসনাবাদ থানা এলাকার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি এক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে বিয়ে হয় বছর পনেরোর নাবালিকার। চাইল্ড লাইনের অভিযোগ পেয়ে হাসনাবাদ থানার পুলিশ শুক্রবার নাবালিকাকে উদ্ধার করে। আদালত নাবালিকাকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক, তাঁর বাবা এবং নাবালিকার বাবার খোঁজ চলছে।
চাইল্ড লাইনের কর্মী কুদ্দুস গাজি বলেন, “নাবালিকা ও ওই যুবকের পরিবার একেবারেই সহযোগিতা করছিল না। প্রায় বারো দিন ধরে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয়।”
হাসনাবাদ থানার আইসি কৃষ্ণেন্দু ঘোষ বলেন, “একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার যুবক পনেরো বছরের নাবালিকাকে বিয়ে করছে শুনে চমকে গিয়েছিলাম। উচ্চশিক্ষিত মানুষদের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশিত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”