প্রতীকী ছবি।
শহরতলির ব্যস্ত রাস্তার ধারে দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকা ব্যক্তিকে দেখে প্রথমে নেশাগ্রস্ত ভেবেই এড়িয়ে গিয়েছিলেন পথচলতি মানুষজন। কিন্তু বেলা গড়িয়ে যাওয়ায় সন্দেহ হয় স্থানীয় দোকানদারদের। টিটাগড় থানার টহলদার পুলিশকে তাঁরাই জানান বিষয়টি। বুধবার বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ ব্যারাকপুর ষষ্ঠীতলায় বি টি রোডের ধার থেকে ওই ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে যায় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কিন্তু প্রাথমিক পরীক্ষা করতে গিয়ে দেহটির জামার বোতাম খুলতেই স্তম্ভিত হয়ে যান চিকিৎসকেরা। কারণ জামা-প্যান্টের তলায় দেহটি অর্ধদগ্ধ অবস্থায় ছিল। পুলিশ জানায়, আধপোড়া দেহে কী ভাবে জামা-প্যান্ট পরানো হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
পুলিশ তখনও পর্যন্ত মৃতের পরিচয় জানতে পারেনি। পরে প্যান্টের পকেটে পাওয়া মোবাইল ফোনের ইনকামিং কল দেখে সেই নম্বরে ফোন করে পরিচয় জানা যায়। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘জয় গিরি (৩৮) নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি খড়দহ থানার বাল ব্রহ্মচারী আশ্রমের কাছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দিন চারেক আগে তিনি বাড়িতেই নেশা করা নিয়ে মায়ের সঙ্গে অশান্তি করে নিজের গায়ে আগুন লাগান। তার পরে নিজেই তা নেভান। এ দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। বিকেলে তাঁর দেহ মেলে।’’
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, নিজেকে অগ্নিদগ্ধ করে কোনও চিকিৎসা ছাড়া চার দিন কাটানো এবং আধপোড়া শরীরে পোশাক পরে চলাফেরা করা আদৌ সম্ভব কি না। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ওই ব্যক্তির কললিস্টের একাধিক জন এবং তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার তথ্যই পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।