সংঘর্ষের পর পুলিশের টহল
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাসন্তীর ভরতগড় বাজারে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বাধে। ঘটনায় এক ফেরিওয়ালা ও এক তৃণমূল নেতা গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে বাসন্তীর আর এক প্রান্ত ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের পানিখালি এলাকায় বিবাদে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল ও যুব তৃণমূল কর্মীরা।
শুক্রবার রাত থেকে দফায় দফায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে যুব তৃণমূলের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে থানায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েত যুব তৃণমূলের দখলে ছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধান ইউসুফ আনসারি গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে একটি খুনের মামলায় জেল খাটছেন। এই অবস্থায় পঞ্চায়েতের যাবতীয় কাজকর্মে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
প্রধানের অবর্তমানে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শঙ্কর সর্দারকে ১০ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে। অভিযোগ, ইউসুফ অনুগামীরা এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। সে কারণেই গত দু’দিন ধরে এলাকায় নতুন করে যুব তৃণমূলের লোকজন সন্ত্রাস শুরু করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শঙ্কর।
তিনি বলেন, ‘‘এলাকার যুব তৃণমূল নেতা নাসিরুদ্দিন খাঁ দু’দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফিরে অশান্তি শুরু করেছে। বাজারে আমার উপরে ও আমাদের তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা করেছে। এলাকায় নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।”
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাসিরুদ্দিন। পাল্টা তিনি বলেন, ‘‘শঙ্কর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এলাকায় যুব তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা করছে। শুক্রবার রাতে আলাউদ্দিন লস্কর ও জুলফিকার মোল্লা নামে দুই যুব তৃণমূল কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে এনে মারধর করে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গিয়েছে। এ দিন সকালে ও বাজারে লোকজন নিয়ে এসে আমাদের যুব কর্মীদের উপরে হামলা করেছে।” যুব তৃণমূল নেতার আরও অভিযোগ, এলাকার মানুষকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ পাইয়ে দিয়ে টাকা হাতাচ্ছিলেন শঙ্কর। প্রতিবাদ করায় যুব তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা হয়েছে। যদিও যুব তৃণমূলের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন শঙ্কর। গোলমাল প্রসঙ্গে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীও।