দল বদলের মুহূর্ত। বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
ঝড়খালির পরে বাসন্তীর আমঝাড়া পঞ্চায়েতেরও দখল নিল তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসন্তীর ঢ়ঁড়িতে এক সভায় তৃণমূলে যোগ দেন ওই পঞ্চায়েতের বাম সদস্যেরা।সঙ্গে তাঁদের কয়েকশো অনুগামীও ছিলেন। তৃণমূলের দাবি, এ দিন তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন আরএসপি-র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য তথা দলের স্থানীয় শাখা কমিটির সম্পাদক আজাদ কয়াল, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আসমা কয়াল এবং আরও ৫ জন পঞ্চায়েত সদস্য-সদস্যা। সেই সঙ্গে আরএসপি ও সিপিএমের হাজার দু’য়েক কর্মী-সমর্থকও যোগ দিয়েছেন তৃণমূল শিবিরে।
আমঝাড়া পঞ্চায়েতের ১৯ জন সদস্যের মধ্যে সিপিএমের ছিলেন ৭ জন। আরএসপি-র টিকিটে জয়ী হন ৫ জন। তৃণমূলের হাতে ছিল ৭টি আসন। এ দিন সিপিএম এবং আরএসপি থেকে বেরিয়ে ৫ জন পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। ফলে এখন ওই পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হল তৃণমূলই।
এ দিন বামফ্রন্ট ছেড়ে আসা পঞ্চায়েত সদস্যদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও হায়দার আজিজ সফি। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর, মোজাফ্ফর খান, তৃণমূলের ক্যানিং ২ ব্লক সভাপতি সওকত মোল্লা প্রমুখ।
বেচারামবাবু বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট এত বছর ক্ষমতায় থেকেও এলাকার কোনও উন্নয়ন করেনি। যে ভাবে মানুষ আমাদের উপরে আস্থা রেখে দলে আসছেন, আগামী দিনে বামফ্রন্ট বলে আর কিছু থাকবে না।’’ আজাদ ও আসমাদের বক্তব্য, ‘‘আরএসপি-র মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই। পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। তাই তৃণমূলের উন্নয়নের কর্মসূচিতে সামিল হতে তাদের দলেই যোগ দিয়েছি।’’
এ বিষয়ে আরএসপি-র জেলা সম্পাদক চন্দ্রশেখর দেবনাথ বলেন, ‘‘সিপিএম কর্মীকে খুনের ঘটনায় আজাদ যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছিলেন। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছাড়া পান। ওঁর নানা দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য আগেই আমাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।’’ তাঁর আরও দাবি, তৃণমূল নানা ভাবে জোর খাটিয়ে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কয়েক জন পঞ্চায়েত সদস্যকে তাদের দলে যোগ দিতে বাধ্য করেছে।’’