কিছু দিন আগেও যে ফুলকপির দাম ছিল ৪০ টাকা, তা-ই এখন বিকোচ্ছে ৩ টাকায়!
চাষিদের কাছ থেকে আগে কেনা হত ২০ টাকা দিয়ে। এখন চাষিরা পাচ্ছেন মাত্র ২ টাকা। অতিরিক্ত ফলনেই এই পরিস্থিতি বলে জানাচ্ছেন চাষিরা। কিন্তু সব মিলিয়ে তাঁদের মাথায় হাত পড়ার জোগাড়। বাদুড়িয়ার কৃষি আধিকারিক সুপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘এক দিকে বাদুড়িয়া-সহ বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত ফুলকপি চাষ হয়েছে।’’ এ দিকে, শীতের শুরুতে বৃষ্টির কারণে পোকার উপদ্রবেও কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
শীতকালে ফুলকপি চাষ ভাল হয়। কিন্তু এত ফলন হওয়ার পরেও লাভ করতে পারছেন না চাষিরা। ফলে বাদুড়িয়া, স্বরূপনগর, বসিরহাট-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে ফুলকপি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন কৃষকেরা।
এ বছরে তিন পর্যায়ে ফুলকপি চাষ করেছিলেন কৃষকেরা। বাদুড়িয়ার গ্রামের পূর্বপাড়ায় বাড়ি আনসার আলি মণ্ডলের। তিনি জানান, গত দু’বছর ফুলকপি চাষ করে ভাল লাভ হয়েছিল। লাভের টাকায় ছেলেদের ট্রাক কিনে দিয়েছিলেন। এ বার দেড় বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। প্রথম পর্যায়ে ৪০ টাকা দামে বিক্রি করে ৮-১০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ফুলকপি চাষ করে ১০
হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। শেষ পর্যায়ে চাষে ফুলকপিতে পোকার কারণে দাগ হওয়ায় চাষের পুরো টাকাটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। বসিরহাটের মেরুদন্ডি-বিরামনগরের বাসিন্দা ফিরোজ গাজি, কপিল মণ্ডলের কথায়, ‘‘বিঘা প্রতি ৫ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফুলকপি কেনার লোক মিলছে না।’’ বসিরহাট শহরের একটি বাজারে এখন একটু বড় ফুলকপি ৫ টাকা, মাঝারি মাপের ফুলকপি ৩ টাকা এবং ছোট আকারের ফুলকপি ২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাষিরা জানান, জমি থেকে কপি তোলার পরে কম দামেই ছেড়ে দিতে হচ্ছে। কারণ, সংরক্ষণের কোনও জায়গা নেই।