বৃষ্টি-গরমে ক্ষতির আশঙ্কা চাষিদের

প্রচন্ড গরম আর আর্দ্রতার সঙ্গে কখনও মাঝারি, কখনও ঝিরঝিরে বৃষ্টি। এই খামখেয়ালি আবহাওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৫ ০১:৪৫
Share:

প্রচন্ড গরম আর আর্দ্রতার সঙ্গে কখনও মাঝারি, কখনও ঝিরঝিরে বৃষ্টি। এই খামখেয়ালি আবহাওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। কিছুদিন আগেও অস্বাভাবিক তাপ ও আর্দ্রতার জন্য রোগ-পোকার আক্রমণে জমিতে ফসল নষ্ট হচ্ছিল। সেচ দিয়ে, কীটনাশক ব্যবহার করে যাও বা কিছুটা সামাল দেওয়া যাচ্ছিল এখন এই প্রাক বর্ষায় ভ্যাপসা গরমের সঙ্গে বৃষ্টিতে ফের নতুন করে রোগ-পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে।

Advertisement

বর্ষা আসার আগে এমনটা বেশিদিন চলতে থাকলে সব্জি, ফল ও ফুল চাষে ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও কৃষি-আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে এই মুহূর্তে নতুন করে কোনও ফসলের চারা পুঁততেও বারণ করা হয়েছে। প্রাক বর্ষার এই বৃষ্টির জেরে এই মরসুমে আমন ধানে সুফল মিলতে পারে যৌথ খামার প্রক্রিয়ায় বীজতলা ফেললে, আশা প্রকাশ করেছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এর বাইরে যাবতীয় সব্জি ও ফুল এবং ফল চাষে গরম আর বৃষ্টি একসঙ্গে থাকায় গোড়া পচা-সহ ছত্রাক সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। পটল, ঝিঙে, পুঁই, লাউ, কুমড়ো, শশা এবং নটে বা অন্য শাকের ক্ষেত্রে গোড়া পচা ও পাতা পচা রোগ ধরতে শুরু করেছে। তিল সবে মাঠ থেকে উঠেছে নইলে তিলের ক্ষেত্রেও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। মাচার সব্জিতে রোগ-পোকার আক্রমণ এড়াতে গাছের গোড়ায় জল যাতে না জমে থাকে তার দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানী কৌশিক ব্রহ্মচারী বলেন, ‘‘ধান ও পাট ছাড়া সব ফসলই এই বৃষ্টিতে নষ্ট হবে। বৃষ্টি যদি আরও কয়েকদিন চলে তবে সব্জি চাষিরা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। তবে এ বার চাষযোগ্য অধিকাংশ জমিতেই আমন ধান চাষ হয়েছে। চাষিদের আপতকালীন শস্য পরিকল্পনা নিতে হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement