—প্রতীকী চিত্র।
মাঝরাতে প্রাক্তন প্রেমিকাকে ডেকে খুন এবং সেই দৃশ্য দেখে ফেলায় তাঁর জেঠিমাকেও হত্যা করে পলাতক এক যুবক। শনিবার জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার হাটখোলা নুর্সিরদারচক এলকায়। অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হঠাৎ নিখোঁজ ছিলেন মধ্যবয়স্কা পূর্ণিমা নস্কর এবং কলেজছাত্রী চুমকি নস্কর। শুক্রবার সকালে ৫৪ বছরের পূর্ণিমার দেহ মেলে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে। তার কয়েক ঘণ্টা পরে ওই পুকুর থেকে পাওয়া যায় ১৯ বছরের চুমকির দেহ। পরিবারের অভিযোগ, দু’জনকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। অভিযোগের তির প্রতিবেশী এক যুবকের দিকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ।
মৃতাদের পরিবারের দাবি, পাশের পাড়ার সৌরভ মণ্ডলের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল চুমকির। কিছু দিন আগে বাড়ির লোকেরা তাঁদের বিয়ের কথা বলে। কিন্তু সৌরভ বিয়ে করতে চাননি। এর পর দু’জনের সম্পর্ক ভেঙে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি অন্য এক যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করছিলেন চুমকি। এ কথা জানার পরেই বৃহস্পতিবার রাতে চুমকিকে ফোন করে বাড়ির সামনে আসতে বলেন সৌরভ। বাড়ির বাইরে আসতেই তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ওই সময় রাত্রে বাড়ির বাইরেই ছিলেন চুমকির জেঠিমা। তিনি এই খুন দেখে ফেলায় প্রমাণ লোপাট করতে তাঁকেও খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর থেকে অভিযুক্ত এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ দু’টি দেহের ময়নাতদন্তের পর তা পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, পূর্ণিমা এবং চুমকি, দু’জনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভারী কোনও বস্তু দিয়ে তাঁদের আঘাত করা হয় বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অন্য দিকে, জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই ওই এলাকায় আপাতত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।