—প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালের পাশাপাশি এ বার পুরসভা পরিচালিত মাতৃসদনেও চালু হচ্ছে ডেঙ্গির চিকিৎসা। এরই সঙ্গে, এত দিনডেঙ্গির চিকিৎসায় প্লেটলেট গোনার কোনও পরিকাঠামো ছিল না পুর হাসপাতাল কিংবা মাতৃসদনে। সেই ব্যবস্থাও চালু করার পরিকল্পনা করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায়ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে মশাবাহিত রোগ। পুরসভা সূত্রের খবর, গতবছর সেখানে ডেঙ্গিতে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছিলেন। মারা গিয়েছিলেন তিন জন। চলতি বছরেও বর্ষা আসতে না আসতেই নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। কয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসেই পুর এলাকায় এক ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
সূত্রের খবর, দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় তা যথেষ্ট নয়। এই সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনার পরে মাঠকল এলাকায় অবস্থিত মাতৃসদনে ডেঙ্গির চিকিৎসা চালু করার সিদ্ধান্ত নেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রের খবর, মাতৃসদনে বর্তমানে যত শয্যা আছে, তার সঙ্গে আরও ১৬টি ডেঙ্গির চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করা হবে।
এক পুরকর্তা জানান, গত বছর মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ায় দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছিল। সীমিত সংখ্যকশয্যা দিয়ে তা সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। তাই তেমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি এড়াতে মাতৃসদনে ডেঙ্গির চিকিৎসা চালু হচ্ছে। এর ফলে ১-৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। পাশাপাশি, চাপ কমবে পুর হাসপাতালের উপরেও।
বাসিন্দারাও জানাচ্ছেন, যাঁরা বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকায় থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে উত্তর দমদম কিংবা দমদম পুর হাসপাতালে যাতায়াতের সমস্যা রয়েছে। তাই মাঠকল এলাকার মাতৃসদনে এমন ব্যবস্থা চালু হলে আখেরে তাঁদেরই সুবিধা হবে।