হাসপাতালে না গিয়ে বেসরকারি প্যাথলজি ল্যাবরেটরিতে প্র্যাকটিস করার অভিযোগ উঠছিল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ওই ল্যাবরেটরিতে গিয়ে ওই চিকিৎসককে বের করে দিলেন ক্যানিং ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা পরেশরাম দাস। তিনি ক্যানিং হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতিও বটে। মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিঙের পেট্রোল পাম্পের কাছে।
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের একমাত্র রেডিওলজিস্ট পরিমল পাইক দীর্ঘদিন হাসপাতালে আসছেন না। ফলে হাসপাতালের ইউএসজি বিভাগ বন্ধ। রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন। হাসপাতালের ইউএসজি বিভাগ বন্ধ থাকার সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালাল চক্র। রোগীদের একাংশের অভিযোগ, দালালেরা হাসপাতাল থেকে রোগীদের ওই প্যাথলজি ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যেত। পরিমলবাবু হাসপাতালে না গেলেও ওই ল্যাবে নিয়মিত যেতেন। সেখানে রোগী পিছু ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে পরেশরামবাবু লোকজন নিয়ে গিয়ে ওই ল্যাবরেটরিতে যান। সেখানে তখন পরিমল পাইক ছিলেন। পরেশরামবাবুতাঁকে বের করে দেন। এ দিন পরিমলবাবুকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএসেরও উত্তর মেলেনি। ওই প্যাথলজি ল্যাবরেটরির মালিক আতিয়ার রহমানের ফোন বন্ধ ছিল।
পরেশরামবাবু বলেন, ‘‘এক শ্রেণির চিকিৎসক হাসপাতালে না এসে প্যাথলজি ল্যাবরেটরিতে বসছেন। ওই ল্যাবরেটরির মালিক এবং ওই চিকিৎসককে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।’’