পঞ্চায়েত সমিতিতে অনাস্থা

তৃণমূল পরিচালিত বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা অধিকারীর অপসারণ দাবি করে সমিতির সতেরো জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিলেন। শুক্রবার ওই সদস্যেরা বনগাঁর মহকুমাশাসক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাগদা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৬ ০১:১৪
Share:

তৃণমূল পরিচালিত বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা অধিকারীর অপসারণ দাবি করে সমিতির সতেরো জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিলেন। শুক্রবার ওই সদস্যেরা বনগাঁর মহকুমাশাসক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়েছেন। সুদীপবাবু বলেন, ‘‘ওই অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে নোটিস দেওয়া হবে। পনেরো দিনের মধ্যে বৈঠক ডাকা হবে।’’ প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে ভোটাভুটি হওয়ার কথা।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ২৭। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ১৫টি আসন। বামেরা পায় ৮টি এবং কংগ্রেস পেয়েছিল ২টি। সভাপতি হন তৃণমূলের শম্পাদেবী।

বিধানসভা ভোটের আগে প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের সঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে কয়েকজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। দুলালবাবু জোট প্রার্থী হিসাবে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছেন। খালি চোখে সমিতিতে এখন তৃণমূল-বিরোধীরাই শক্তিশালী। নির্বাচনের পরে সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকাটা ছিল সময়ের অপেক্ষা।

Advertisement

এ দিন যে সতেরোজন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে সই করেছেন, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের সদস্য আছেন ৭ জন। বামেদের ৮ জন এবং কংগ্রেসের ২ জন। মহকুমাশাসককে দেওয়া অনাস্থা চিঠিতে ওই সদস্যেরা দাবি করেছেন, সভাপতি হিসাবে শম্পাদেবী উন্নয়নমূলক কাজ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। অন্য সদস্যদের তিনি মর্যাদা দেন না। নিজের খেয়াল-খুশি মতো কাজ করেন। ব্যবহারও খারাপ।

শম্পাদেবীর সঙ্গে ফোনে দু’বার যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন, ফলে কথা বলতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ ব্যাপারে বাগদা ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি হিবজুর রহমান মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘‘ওই অনাস্থা একটি অনৈতিক কাজ। আমরা দলের পক্ষ থেকে তার মোকাবিলা করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement